বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :– বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে মহা সমারোহে পালিত হল সরস্বতী পুজো। আর এই সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করেই অভিনব উদ্যোগ নিল ‘সুইচ অন ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছাসেবী’ সংস্থা। সংস্থার সদস্য সন্দীপন সরকার জানিয়েছেন, পুজো উৎসবে অনেকাংশে কমেছে অপচনশীল দ্রব্যের ব্যবহার। স্কুলগুলিতে সরস্বতী পুজোয় ভোগ খাওয়ার পাত্র হিসাবে ফিরছে কলাপাতা কিংবা কাগজের থালা। তিনি জানিয়েছেন, পরিবেশবান্ধব সরস্বতী পুজোর খোঁজে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল সুইচ অন ফাউন্ডেশন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘মিলীত প্রয়াস’-এর সহযোগিতায় পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহর কেন্দ্রিক ১৩ টি স্কুল অংশ নেয় এই উদ্যোগে। বর্ধমান টাউন স্কুল, লাকুর্ডি বিদ্যামন্দির হাই স্কুল, বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাই স্কুল, কাঞ্জননগর ডি.এন.দাস হাই স্কুল, রথতলা মনোহর বিদ্যানিকেতন, ভারতী বালিকা বিদ্যালয়, বর্ধমান শ্রী আর.কে.এস.পি. হাই স্কুল, বর্ধমান রাজ কলেজিয়েট স্কুল, উদয়পল্লী শিক্ষানিকেতন হাইস্কুল ও তেজগঞ্জ হাইস্কুল -এর মধ্য থেকে সেরা পরিবেশবান্ধব পুজো, বর্জ্য শূন্য পুজো, দূষণহীন প্রতিমা এবং সেরা জলবায়ু সচেতনতার প্রচারের জন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া স্কুলগুলির মধ্যে আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবীর কুমার দে, তেজগঞ্জ হাইস্কুলের প্রতনু রক্ষিতরা জানিয়েছেন, তাঁদের স্কুলের পুজোয় মণ্ডপ তৈরি থেকে প্রসাদ বিতরণ কোথাও প্লাস্টিক বা থার্মোকলের ব্যবহার নেই বরং বিভিন্ন প্রকার পচনশীল বর্জ্য ব্যবহার করে মণ্ডপ সাজানো হয়েছে। এমনকি অঞ্জলি দেওয়ার সময় ছাত্রছাত্রীদের বসার জন্যও চটের আসন ব্যবহার করা হয়েছে ত্রিপলের আসনের বদলে। বিচারকের দায়িত্বে থাকা ড: ওম শংকর দুবে, নিবেদিতা রায় জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের শিক্ষকদের থেকে উৎসাহ পেয়ে যে ভাবে স্কুলগুলিতে পরিবেশবান্ধব সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেছে তা তারিফ যোগ্য। কিশোর মনে পরিবেশ সচেতনতার প্রসারে এই উদ্যোগ কাজে আসবে। পুরোনো খবরের কাগজ থেকে সাধারণ মাটির ভাঁড় দিয়েও খুব সুন্দর শিল্পকর্ম করা হয়েছে। সন্দীপন সরকার জানিয়েছেন, স্কুল স্তরে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বার্তা দিতেই এবং সরস্বতী পুজো পরবর্তীতে বর্জ্য শূন্য উৎসবে উৎসাহ দিতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এবারে শুধু শহরকেন্দ্রিক স্কুলগুলিকে নিয়ে এই আয়োজন হলেও আগামীদিনে তাঁদের সমগ্র জেলার স্কুলগুলিকে এই উদ্যোগে সামিল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।