গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- মামলা রুজু করার জন্য এক মহিলার কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল বর্ধমান মহিলা থানার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বর্ধমান সিজেএম আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে অভিযোগ করেছেন জামালপুর থানার প্রাণবল্লভপুরের গৃহবধু অপর্ণা দাস। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম রতন কুমার গুপ্তা। একইসঙ্গে মহিলা থানার আইসির কাছে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করেছেন সিজেএম। ২০ আগস্ট এসপিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সেদিনই ব্যাখ্যা দিতে হবে আইসিকে। অর্থ চাওয়া এবং এনিয়ে আদালতের তদন্তের নির্দেশে পুলিস মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি মহিলা থানার কেউই। তবে, জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, বিষয়টি জানা নেই। আদালত এ ধরণের নির্দেশ দিলে তা খতিয়ে দেখে অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ জুলাই বর্ধমান সিজেএম আদালতে অভিযোগ করেন অপর্ণা। তাঁর অভিযোগ, কিছুদিন আগে বাড়িতে কয়েকজন হামলা চালায়। তার স্বামীকে মারধর করে। এমনকি বাড়িতে লুটপাটও চালানো হয়। এ বিষয়ে থানায় নালিশ জানাতে গেলে তা নেওয়া হয়নি। এসপিকে জানানোর পরও সুরাহা হয়নি। তাই সিজেএম আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। অপর্ণা ও তার আইনজীবীর বক্তব্য শুনে কেস রুজু করে তদন্তের জন্য মহিলা থানার আইসিকে নির্দেশ দেন সিজেএম। মামলা রুজুর বিষয়ে ৩০ জুলাই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন সিজেএম।
আদালতের নির্দেশের পরও মামলা রুজু করেনি থানা। এমনকি এ ব্যাপারে রিপোর্টও পেশ করা হয়নি আদালতে। এসবের মধ্যেই আদালতে হলফনামা পেশ করে অপর্ণা অভিযোগ করেন, আদালত কেস রুজুর নির্দেশ দেওয়ার পর তাকে মহিলা থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তার কাছ থেকে মামলা রুজু করার জন্য ৮ হাজার টাকা দাবি করা হয়। গরিব হওয়ায় তিনি সেই টাকা দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। তখন তাঁকে থানা থেকে চলে যেতে বলা হয়। ২৬ জুলাই তিনি আদালতে হলফনামা জমা দেন।