E Purba Bardhaman

মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলে ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য দেখা দিল। অভিভাবকদের অভিযোগ, এই স্কুলের প্রাইমারী বিভাগের প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীদের কাছ থেকে স্কুলের উন্নয়নের নামে ৫০০ টাকা করে চাওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক বিভাগে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রীদের কাছ থেকে ১০০০ টাকা করে চাওয়া হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে চাওয়া হয়েছে ১৮০০ টাকা করে। অভিভাবকদের অভিযোগ, এব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা নেওয়ার রসিদ চাওয়া হলে তাঁরা তা দিতে অস্বীকার করেছেন। স্বাভাবিকভাবে গোটা ঘটনায় নিয়ে রীতিমত বিতর্ক দেখা দিয়েছে। শুক্রবারই এব্যাপারে তাপস ঘোষ নামে এক অভিভাবক বর্ধমান জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। যদিও এব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী মল্লিক জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে স্কুলের বিরুদ্ধে। প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, স্কুলের একাধিক উন্নয়ন এবং সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয় সম্পর্কে সম্প্রতি অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানেই সমস্যাগুলি তুলে ধরা হয়। পরে অভিভাবকদের সম্মতিতেই এই অর্থ নেওয়ার বিষয়টি চুড়ান্ত হয়। তিনি জানান, মূলত স্কুলের নিরাপত্তা, বেশ কিছু কর্মীর বেতন, বেশ কয়েকজন স্কুলের অস্থায়ী শিক্ষকের বেতন প্রভৃতি খাতেই এই অর্থ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে তাঁরা কোনো চাপ দেননি। সদিচ্ছায় যাঁরা দিতে পেরেছেন তাঁদেরই অর্থ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, অনেক অভিভাবকও এই নির্ধারিত অর্থের বেশিও দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, এই অর্থ নেওয়ার বিষয়ে তাঁরা বিল ছাপতে দিয়েছেন। কিছু বিল এসেছে তা দেওয়া হয়েছে। বাকি বিল এসে গেলে প্রত্যেকই অর্থের বিনিময়ে রসিদ দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এই স্কুলের মেণ্টর খোদ পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব। এই ঘটনা সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, অভিভাবকদের কাছ থেকে এব্যাপারে তিনি অভিযোগ পাবার পর জেলা স্কুল পরিদর্শককে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Exit mobile version