E Purba Bardhaman

ভোট রঙ্গে এবার তৃণমূল প্রার্থীর ব্যানার নিয়ে হৈ চৈ

Controversy over banner of Trinamool candidate for election campaign

খণ্ডঘোষ (পূর্ব বর্ধমান) :- ভোটের লড়াইয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর খেলায় যখন মত্ত, সেই সময় বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের প্রচার ব্যানারকে ঘিরে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়ে গেল। পূর্ব বর্ধমান জেলার খন্ডঘোষ বিধানসভা এলাকা বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। আর এই খণ্ডঘোষ ব্লকের পোলেমপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে লাগানো সুজাতা মণ্ডলের এই ব্যানারে লেখা হয়েছে – আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁকে জোড়াফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী করুন। আর এই প্রচার ব্যানারেই একদিকে যেমন রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ছবি, তেমনি অন্যদিকে রয়েছে সুজাতা মণ্ডলের ছবি। এমনকি সুজাতা মণ্ডলের ওই ছবিতে তাঁর গলায় রয়েছে পদ্মফুল আঁকা বিজেপির উত্তরীয়, বিজেপির প্রতীক ব্যাচ। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে ব্যাপক চর্চা। ভোটের বাজারে এই ব্যানারের ছবিই ভাইরাল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রেই বিজেপির প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র খাঁ-এর সঙ্গে সুজাতা মণ্ডলের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। তারপরেও প্রচারের ব্যানারে কীভাবে সুজাতা মণ্ডল খাঁ লেখা হয়েছে তা নিয়ে ব্যাপক তরজা শুরু হয়েছে। একই সাথে পদ্মফুল আঁকা বিজেপির উত্তরীয় গলায় থাকা অবস্থায় সুজাতা মণ্ডলের ব্যানার নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতাদের দাবি, এটা গোটাটাই বিজেপির চক্রান্ত। এই ধরনের কোনো ব্যানার তাঁদের বা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে করা হয়নি। নিজেদের হার নিশ্চিত জেনে ইচ্ছা করে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিজেপি এই ধরনের নোংরামি করছে। অন্যদিকে, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র জানিয়েছেন, বিজেপি এই ধরনের কাজ করে না। ওরা হারবে বলেই এই ধরনের কথা বলছে। ওদের ব্যানারে ওরা কী লিখবে না লিখবে সেটা ওদের ব্যানার। বিজেপি নিজেদের টাকা খরচ করে তৃণমূলের ব্যানার লিখবে এটা মূর্খরাও বিশ্বাস করবে না। উল্লেখ্য, এদিন এই অঞ্চলে প্রচারে আসেন সৌমিত্র খাঁ। প্রাক্তন স্ত্রীর বিষয়ে তিনি এদিন বলেন, তৃণমূলের যিনি প্রার্থী তিনি কবে থেকে তৃণমূল হলেন সেটাই বুঝতে পারছি না। হঠাৎ করে কেউ কারোর স্ত্রী হওয়ার জন্য তাকে এমএলএ, এমপির টিকিট দিতে হবে আগে কখনও দেখি নি। অনেক শহিদ পরিবার ছিল তাঁদের টিকিট দিতে পারতেন।

Exit mobile version