E Purba Bardhaman

বর্ধমান স্টেশনের ওপর ফুটব্রিজ তৈরি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরের বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি

Councilor of Trinamool Congress threatens a larger movement over the construction of a footbridge over Burdwan station

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- গতবছর ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ বর্ধমান স্টেশনের ওপর শতবর্ষের পুরোনো বর্ধমান-কাটোয়া রেল ওভারব্রীজ ভেঙে ফেলার পর কার্যত কেটে গেছে একবছর। রেলের বারবার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও এখনও সাধারণ মানুষের জন্য ফুটব্রিজ তৈরি না হওয়ায় এব্যাপারে বর্ধমান পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার সেখ নুরুল আলম ওরফে সাহেব এবার বড়সড় হুঁশিয়ারি দিলেন রেল কর্তৃপক্ষকে। আর এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি রেল দপ্তরে এই ফুটব্রিজের কাজ শুরু করার জন্য চিঠি দিয়ে আসছেন। বুধবারও তিনি চিঠি দিয়েছেন। সাহেব জানিয়েছেন, এদিন তিনি যে চিঠি দিয়েছেন তার উত্তরের জন্য তিনি ১০দিন অপেক্ষা করবেন। এরই মাঝে কোনো সদুত্তর না মেলে তাহলে এলাকার সাধারণ মানুষকে নিয়ে বর্ধমান স্টেশন অভিযান-সহ গণ আন্দোলন গড়ে তুলবেন। উল্লেখ্য, বর্ধমান স্টেশনের ওপর ওই শতবর্ষ প্রাচীন সেতুর বিপজ্জনক ভগ্নাবস্থার জেরে তাকে ভেঙে ফেলা এবং পরিবর্তে তার পাশেই ফ্লাইওভার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যথারীতি এই ফ্লাইওভার তৈরির পর তা উদ্বোধন ঘিরেও দেখা দেয় নাটক। রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ওই ফ্লাইওভারের উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও তড়িঘড়ি ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাজ্যের তৎকালীন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এই ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসাবে। ওইদিন মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুরে থাকায় তাঁর বদলে সুব্রতবাবু উদ্বোধন করেন ওই সেতুর। এদিকে, পুরোনো ব্রিজ ভেঙে ফেলায় পথচারী-সহ সাইকেল, টোটো, রিকশা, ভ্যানচালকরা পড়েন কঠিন সমস্যায়। অনেক উচ্চতা বিশিষ্ট ফ্লাইওভারে তাঁদের মালপত্র নিয়ে ওঠানামায় সমস্যা দেখা দেয়। যদিও ওই ফ্লাইওভার নির্মাণের পাশাপাশি পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে নতুন ফুটব্রিজ তৈরি করে দেবার কথা ঘোষণা করে রেল। ইতিমধ্যে জমি হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। কিন্তু জমি হস্তান্তর পর্ব মিটলেও এখনও ফুট ব্রিজ তৈরি না হওয়ায় এবার আন্দোলনের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাধারণ মানুষ। সামনেই লোকসভার ভোট। তার আগে রেলের এই প্রতিশ্রুতি পালন না করার ইস্যুকে সামনে রেখে আন্দোলনের হুমকি দেবার ঘটনায় শুরু হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। নুরুল আলম জানিয়েছেন, এই ফুট ব্রিজ না থাকায় রেলের দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছেন। অথচ রেলদপ্তর গোটা বিষয়টি নিয়ে কার্যত উদাসীন। বারবার তাঁরা চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু কোনো উত্তর মেলেনি। বুধবার তাই শেষ চিঠি দিলেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে উত্তর না দিলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলে রেল দপ্তরকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

Exit mobile version