বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- শুধু সন্দেশখালি নয়, রাজ্যের বহু জায়গাতেই সন্দেশখালির মত ঘটনা ঘটছে। ডিজি লঞ্চে গিয়ে সন্দেশখালি ঘুরে এসে বললেন, মানুষের সমস্ত অভিযোগের বিচার হবে। তাহলে এখনও শাহজাহানকে কেন গ্রেপ্তার করতে পারল না পুলিশ। আজ ডিজি সন্দেশখালিতে গিয়ে মানুষকে আশ্বাস দিলে মানুষ শুনবে? মানুষ বিশ্বাস করবে? এমন একটা লোককে ডিজি করা হয়েছে যাকে চিটফান্ড মামলায় লাল ডায়েরি, পেন ড্রাইভ প্রভৃতি সরাতে ব্যবহার করা হয়েছিল। তাঁকে মানুষ বিশ্বাস করবে? বৃহস্পতিবার বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে প্রয়াত সিপিআই(এম) নেতা প্রদীপ তা এবং কমল গায়েনের স্মরণসভায় বক্তব্য রাখতে এসে সন্দেশখালি নিয়ে একথা বলে গেলেন সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। তিনি এদিন বলেন, ওই ডিজি সন্দেশখালি গিয়েছিলেন শাহজাহানের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের তথ্য লোপাট করার জন্য। শাহজাহানকে পুলিশ এবং প্রশাসনের অতিথি করে রাখা আছে কোথাও। সেখানে তাঁকে শেখান হচ্ছে ধরা পড়লে কোর্টে গিয়ে কী বলতে হবে। সেলিমসাহেব এদিন আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, যদি তথ্য লোপাট করতে না পারে তাহলে এনকাউণ্টারও করা হতে পারে শাহজাহানকে। পুলিশ গেল, পুলিশের ডিজি গেলো, সারারাত কত তামাশা হল। উনি বললেন সব ঠিক করে দেবো। যত অপরাধী আছে তাদের ধরবেন, শাস্তি দেবেন। আমরা প্রথম দিন থেকে বলছি রাজ্য সরকার অপরাধীদের সরকার হয়েছে। পুলিশ অপরাধীদের পাহারা দিচ্ছে। তাঁরা গিয়ে দেখেছেন অপরাধের জগৎ যাতে ঠিকমতো চলে। স্মাগলিং, ঘর চুরি, টাকা চুরি তার সাথে জমি চুরি, পুকুর চুরির ব্যবস্থা যাতে ঠিমকত হয়। সবাই মনে করলেন উনি গেছেন গ্রেফতার করতে, তিনি নাম বললেন না। ডিজি বললেন যেই অপরাধ করবে তাকেই ধরবেন। তার মানে সাংবাদিক, সম্পাদক, বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীকে ধরবেন। নিরাপদ সর্দারকে গ্রেফতার করা হয়েছে শিবু হাজরার অভিযোগে। অথচ শিবু হাজরা নিজেই গণধর্ষণে অভিযুক্ত। সেলিম বলেন, মানুষকে কেন আইন নিজের হাতে তুলে নিতে হচ্ছে। কারণ রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তখন এই ধরনের ঘটনা ঘটে। এটা একটা সন্দেশখালি নয় বীরভূম, হাওড়া, কোচবিহার বিভিন্ন জেলায় এরকম কয়েক ডজন সন্দেশখালি রয়েছে। তৃণমূল, পুলিশ, প্রশাসন, পঞ্চায়েত সহযোগে মুক্তাঞ্চল তৈরি করেছে। রাজ্য সরকার, রাজ্য প্রশাসনের সরকারের টনক যদি এখনও না নড়ে। তাহলে কোন টনিকে টনক নড়ে সেটা দেখতে হবে।
উল্লেখ্য, এদিন এই স্মরণসভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাষ রায় চৌধুরি, অঞ্জু কর, রাজ্য কমিটির সদস্য অমল হালদার, অচিন্ত্য মণ্ডল, জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন, প্রদীপ তা-এর স্ত্রী চিত্রলেখা তা, মেয়ে পৃথা তা প্রমুখ।