Site icon E Purba Bardhaman

ফুটবল খেলতে গিয়ে ফুটবলারের মৃত্যু, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ

death footballers due to injuries during football play

কাটোয়া (পূর্ব বর্ধমান) :- ফুটবল খেলতে গিয়ে পেটে চোট পেয়ে মারা গেল এক উঠতি ফুটবলার। মৃতের নাম জয় অধিকারী। বাড়ি কেতুগ্রামের নৈহাটি গ্রামে। এই ঘটনায় চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে। জানা গেছে, বুধবার বিকালে ফুটবল খেলার সময় তলপেটে চোট পান জয়। গ্রামের মাঠে অন্যান্য ছেলেমেয়েদের সঙ্গে খেলার সময় এই ঘটনা ঘটে। এরপর বাড়ি ফিরে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। শুরু হয় বমি। তাকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে তার কোনো চিকিত্সা হয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ। পরদিন তার ইউ এস জি করা হয়। ওইদিন রাতে রিপোর্ট দেখে পরদিন সকালে ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে গেলেও অবস্থার কোন রকম উন্নতি হয়নি। উল্টে ফের বমি শুরু হয়। এরপর অন্য এক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ফের তিনি ইউ এস জি করারনোর কথা বলেন। অন্য একটি ল্যাব থেকে সেই রিপোর্ট করানোর পর রিপোর্ট দেখে ওই চিকিৎসক কিশোরকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে আটটা নাগাদ কিশোরকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ওইদিন রাত ১১টা নাগাদ তার অপারেশন হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শনিবার দুপুরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। জয়ের দাদা রাজকুমার অধিকারী অভিযোগ করেছেন, প্রথমে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল বিষয়টি গুরত্ব দেয়নি। এরই পাশাপাশি যে প্যাথলজি সেন্টার থেকে প্রথমে রিপোর্ট করানো হয়েছিল সেই রিপোর্টেও ভুল ছিল। সেই রিপোর্ট দেখেই হাসপাতাল ছুটি দিয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল সহ ওই প্যাথলজি ল্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন তাঁরা।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডাঃ অমিতাভ সাহা বলেন, কিশোরকে খুব খারাপ অবস্থায় এখানে আনা হয়। কিশোরের ডিওডিনাম আঘাতে ফেটে গিয়েছিল। অস্ত্রপচার করে তা মেরামত করা হয়। তাকে বাঁচানোর সাধ্যমতো চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, বাঁচানো যায়নি। এনিয়ে মন্তব্য পাওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার কাটোয়া হাসপাতালের সুপার রতন শাসমলকে ফোন করা হয়। কিন্তু, তিনি ফোন ধরেননি। সেকারণেতার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Exit mobile version