গলসী (পূর্ব বর্ধমান) :- পৌরসভার কাজে যাতে খামতি না থাকে শুক্রবারই সে ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে রীতিমতো কটাক্ষ করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, বাড়ি ভেঙ্গে চাপা পরে যাচ্ছে। ডজন-ডজন মানুষ মারা যাচ্ছেন। আগে তাঁদের বাঁচান। কাউন্সিলারদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কোথায় চলে গেছেন। সমস্ত কাটমানিখোর, দুষ্কৃতি ওরা হচ্ছে কাউন্সিলার। এখন সরকার লোকের কাছে মুখ দেখাতে পারছে না। কখন কে চাপা পড়ে মরবে কলকাতার লোকের চিন্তার শেষ নেই। শুক্রবার এই লোকসভার গলসী বিধানসভা তথা গলসী ১ ও ২ ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার সারেন দিলীপবাবু। মন্দিরে পুজো দেওয়া থেকে কর্মী বৈঠক করেন। নির্বাচন কমিশনের শোকজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য অফিস আছে, আইনজীবী আছেন তাঁরা শোকজের জবাব দিচ্ছেন। তাঁরা তাঁদের কাজ করছেন, আমি আমার কাজ করছি। বিজেপির শ্বেতপত্র প্রকাশ সম্পর্কে অভিষেকের টুইট নিয়ে তিনি বলেন, উনি বলার কে? বিভিন্ন প্রকল্পের গরীব মানুষের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকা লুট করে খেয়েছেন। এটা ক্যাগের রিপোর্ট। কেন্দ্রের পাঠানো সেই টাকার হিসাব আগে দিক। তারপর পরের টাকা চাইবেন। চোরেদের টাকা চাওয়ার অধিকার থাকে না, হিসাব দেওয়ার দায়িত্ব থাকে। মানুষ হিসাব চাইছে, হিসাব দিতে হবে। তারপর শ্বেতপত্র না ব্ল্যাক পেপার দেখা যাবে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স নিয়ে বিল গেটসের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ সিপিআই(এম)-কে কটাক্ষ করে বলেন, কম্পিউটারের বিরোধিতা করা সিপিএম বর্তমানে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। কটাক্ষের সুরেই তিনি বলেন, বামেরা এইরকমই চিরদিন, দেরিতে বোঝে। বুঝতে বুঝতে পার্টিটাই শেষ হয়ে গেলো। অন্যদিকে, তৃণমূলের মমতা-নরেদ্র মোদী কার্টুন প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, কে করেছে জানি না, কোনও লাথখোরই করেছে কেউ। বীরভূমে পাথর খাদানে তৃণমূল নেতার দেহ উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খুবই দুঃখের বিষয়। পাথর খাদান নিয়ে অনেক রাজনীতি, বিতর্ক আছে। এই জায়গাগুলো মানুষ মারার ষড়যন্ত্রের জায়গা। সমস্ত অবৈধ কাজ চলে। কোনও আইনশৃঙ্খলা নেই। লুটপাট, খুন চলে। প্রশাসনের দেখা উচিত এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে।