বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির প্রার্থী হিসাবে অভিজিৎ দাসের নাম ঘোষণায় মঙ্গলবার দুপুরে বর্ধমানের বড়শুলে জনসংযোগ অভিযানে আসা দিলীপ ঘোষ বললেন, (প্রার্থীর নাম ঘোষণা) হয়ে গেছে? জানি না। জেলা সভাপতি অভিজিৎ দাসকে প্রার্থী করায় তিনি বলেন, আগেই তো দিতে পারতো। তিনি বলেন, আগের নির্বাচনে সেই প্রার্থী ছিল। জেলা সভাপতি ছিল। লড়াকু ছেলে। ভূমিপুত্র। লড়াই করবে। পুরোনো লড়াই। ও ওখানকার ভূমিপুত্র। লড়াই করেছে, সংগঠন দাঁড় করিয়েছেন। আর উনি (অভিষেক) বাইরে থেকে গেছেন। দেখা যাক লোক কার সাথে থাকেন। প্রথম দফায় জঙ্গলমহলে চার জেলায় ভোট অথচ বাহিনী শূন্য। এব্যাপারে দিলীপবাবু বলেন, বাহিনী থাকবে, হয়ত সব বুথে থাকবে না। আর এই ধরনের বুথে বুথে বাহিনী দিয়ে ভোট কতদিন চলতে পারে। সারা দেশে দিতে হয়না। আমার মনে হয় পশ্চিমবঙ্গের জাগ্রত জনতা ওর হিসাব নেবেন সব ঠিকঠাক। সম্প্রতি শক্তিগড় এলাকায় প্রচারে গিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী একটি মিষ্টির দোকানে গিয়ে ল্যাংচা ভাজেন। এদিন সেই সম্পর্কে দিলীপবাবু বলেন, আমি তো ভাজাভাজি করি না, উনি এরপর ভেরান্ডাও ভাজবেন। আমি তো এসেছি ল্যাংচা খেতে। উনি প্রথম এসেছেন তো, আমরা অনেক বছর আসছি এখানে। ল্যাংচাও জানি, মিহিদানা- সীতাভোগ সবই জানি। সবচেয়ে বড় কথা আমি এখানকার লোকের ভালোবাসাটা খেতে চাই। উনি ভাজবেন, আপনি খাবেন? দিলীপ ঘোষ বলেন, যার কপালে যা আছে। কেও পাঁপড় ভাজছে, কেউ ভেরেন্ডা ভাজছে। অভিজিৎ দাস কি দুর্বল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে? দিলীপবাবু বলেন, আমি জানি না কে দুর্বল, কে সবল। জনতা ঠিক করবে। দেশের, দুনিয়ার সবচেয়ে বড় পার্টি বিজেপির প্রার্থী অভিজিৎ দাস। তিনি নিজের বাড়ি, নিজের গ্রাম, নিজের এলাকায় দাঁড়িয়ে। তিনি ওখানকার গ্রাম গ্রাম জানেন। তিনি ওখানকার সংগঠনকে দাঁড় করিয়েছেন। তিনি ওখানকার প্রার্থী হয়ে লড়াই করবেন। সমস্ত কর্মীরা তাঁর পক্ষে লড়াই করবেন। ডায়মন্ড হারবারে বিজেপি ভয় পাচ্ছে? দিলীপ ঘোষ বলেন, সে কে কাকে ভয় পাচ্ছে ভবিষ্যৎ বলবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিএম কেয়ার ফান্ডের হিসাব চাওয়া নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি আইন জানেন না। পার্লামেন্টে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে গেছে। হিসাবমত সবকিছু হয়েছে। উনি ভেবেছেন সবাই ওনার মত চুরি করেন। তাই সবার দিকে আঙুল তোলেন।