E Purba Bardhaman

অতিরিক্ত জেলাশাসকের অ্যাকাউন্ট থেকে জমির দাম বাবদ ৫৮ লক্ষাধিক টাকা আদালতে জমা করার নির্দেশ

Directed to deposit 58 lakh rupees in the court for the cost of land from the Additional District Collector's account

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- অতিরিক্ত জেলাশাসক (জমি অধিগ্রহণ)-এর পিএল অ্যাকাউন্ট থেকে জমির দাম বাবদ আলাদা করে রাখা ৫৮ লক্ষাধিক টাকা আদালতে জমা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জমির মালিক যাতে অনুমতি নিয়ে সেই টাকা তুলতে পারেন তার জন্য এই ব্যবস্থা। আগামী ৭ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন রয়েছে। তার মধ্যে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে জেলাশাসককে নির্দেশ কার্যকর করার জন্য বলেছে আদালত। শুক্রবার বর্ধমানের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক বিশ্বরূপ শেঠ এই নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী নরনারায়ণ মিশ্র বলেন, এ ব্যাপারে আমি আদালতে আবেদন জানিয়েছিলাম। আদালত তা খারিজ করেছে। তবে, এনিয়ে আমি নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার জন্য পৃথক একটি আবেদন করেছি। যদিও বিচারক তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, এই সময় আপত্তি জানানোর কোনও সুযোগ নেই। সরকারকে ডি-ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আদালতে জমা দিতে হবে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম আমলে ১৯৯৫-৯৬ সালে হাউসিং প্রোজেক্টের জন্য তৎকালীন বর্ধমান থানার বাম এলাকায় জেলা পরিষদের হয়ে সরকার জমি অধিগ্রহণ করে। বামের বাসিন্দা শঙ্করী সরেনের ৩১ শতক জমি অধিগৃহীত হয়। সেই সময় সরকার তাঁকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ হাজার ৯৬৪ টাকা দেয়। আপত্তি জানিয়ে জমির মালিক সেই টাকা নেন। পরে জমির উচ্চ দর পেতে তিনি আদালতের দারস্থ হন। ২০১৯ সালে আদালত শতক পিছু ৩০ হাজার টাকা এবং আইন মোতাবেক ক্ষতিপূরণ ও সুদ দেওয়ার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেয়। যদিও সেই নির্দেশ সরকার কার্যকর করেনি। আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার জন্য ২০২০ সালে ফের মামলা করেন জমির মালিক। বর্তমানে জমির মূল্য বাবদ সরকারের কাছে তাঁর পাওনা ৫৮ লক্ষ ৯ হাজার ৯৬২ টাকা। আদালত সরকারকে জমির দাম মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়। তারপরও সরকার গড়িমসি করায় অতিরিক্ত জেলাশাসক (জমি অধিগ্রহণ)-এর অ্যাকাউন্ট থেকে সেই টাকা কেটে আলাদা করে রাখার জন্য নির্দেশ দেয় আদালত। নির্দেশ কার্যকর করে আদালতে রিপোর্ট দিতে বলা হয় সরকারকে। সেইমতো জেলাশাসক আদালতে রিপোর্ট পেশ করে টাকা আলাদা করে রাখার কথা জানিয়ে দেন। এদিন জমির মালিকের আইনজীবী ব্রজবিনোদ কোনার সেই টাকা পেতে আদালতে আবেদন করেন। যদিও সরকার পক্ষের আইনজীবী তার বিরোধিতা করেন। তা খারিজ করে দিয়ে পিএল অ্যাকাউন্টের স্কিম আইডি ৪৮৭৭ থেকে টাকা আদালতে জমা করার জন্য নির্দেশ দেন বিচারক।

Exit mobile version