বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- জেলার বিভিন্ন হোমগুলির কী অবস্থা, কেমনভাবে চলছে হোমগুলি। হোমে থাকা আবাসিকদের দেখভাল বা যত্ন বা সরকারী নিয়ম মেনে কি তারা সব রকমের সুবিধা পাচ্ছে? একাধিক এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই আগামী ৪ জুলাই পূর্ব বর্ধমান জেলার বেসরকারী ৬টি এবং সরকারী একটি হোমের কর্তৃপক্ষদের নিয়ে সেমিনার হতে চলেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান জেলায় বর্তমানে ৬টি বেসরকারী হোম রয়েছে এবং একটি মেয়েদের সরকারী হোম রয়েছে। অনেক সময়ই এই সমস্ত হোমের আবাসিকদের ওপর যত্নবান না হওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাই হোমগুলির হালহকিকত খতিয়ে দেখতেই এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। জানা গেছে, এই সেমিনারে সরকারী যে হোম সংক্রান্ত নিয়ম ও আইন রয়েছে সেগুলিকেও তুলে ধরা হবে বলে জানা গেছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক প্রশান্ত রায় জানিয়েছেন, ৪ জুলাই মোট ৭টি হোমের কর্তৃপক্ষদের ডাকা হয়েছে। তাঁরা তাঁদের নিয়ে আলোচনা করবেন। উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমান জেলায় যে হোমগুলি রয়েছে সেখানে থাকা আবাসিকদের বাড়ির পরিচয় জানা এবং তাদের বাড়িতেই ফেরত পাঠানোর জন্য উদ্যোগ জারী রয়েছে জেলা প্রশাসনের। মঙ্গলবার কাটোয়ার আনন্দ নিকেতন হোম থেকে এক যুবতীকে বাড়িও পাঠিয়ে দেওয়া হল। জানা গেছে, ২০১৫ সালে কাটোয়া ষ্টেশন থেকে মানষিক ভারসাম্যহীন এক যুবতীকে উদ্ধার করে কাটোয়ার আনন্দ নিকেতন হোমে তাকে পাঠানো হয়। সেখানেই গত ৩ বছর ধরে তার চিকিত্সা চলে। সম্প্রতি সুস্থ হওয়ার পর তার কাছ থেকে বাড়ির ঠিকানা খুঁজেও পাওয়া যায়। অবশেষে ৩ বছর পর মঙ্গলবার তাকে তার বাড়ির লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর আগে নৈহাটি এলাকায় একটি মেলা দেখতে এসে সে হারিয়ে যায়। পরে কাটোয়া ষ্টেশন থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।