E Purba Bardhaman

জেলায় চাষের ক্ষতি পরিদর্শন করলেন জেলাশাসক, ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলনে কৃষকরা

District Magistrate inspected the damage of cultivation in the district, the farmers are protesting to demand compensation

রায়না (পূর্ব বর্ধমান) :- পূর্ব বর্ধমানের রায়না, জামালপুর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখলেন জেলাশাসক আয়েষা রানি এ। একইসঙ্গে মঙ্গলবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে বিজয়া সম্মিলনের অনুষ্ঠানেও রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও জানান, দানার প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এদিনই জেলাশাসক তাঁর কাছে জানতে চেয়েছেন। অপরদিকে, মঙ্গলবার একদিকে যখন জেলাশাসক জেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখলেন সেই সময় চাষের ক্ষতিপূরণের দাবিতে এদিনই জেলাশাসক দপ্তরে কৃষি ও কৃষক বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। চাষীরা অভিযোগ করেছেন, এই সময় বহু জায়গায় ধান উঠছে আবার কিছুদিন পর ধান ওঠার সময় হয়েছে। এইরকম পরিস্থিতিতে এই প্রবল বর্ষণের ফলে চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলো। ফলে চাষীরা সর্বস্বান্ত। অনেকেই ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। তাই কীভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন তা ভেবে উঠতে পাচ্ছেন না। চাষীরা যত দিন যাচ্ছে ঋণগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে ফসলের ঠিক মতো দাম পায় না আর একদিকে বছরের পর বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। চাষের খরচ এখন বহুগুণ বেড়ে গেছে। সার, বীজ, কীটনাশকের দাম আকাশছোঁয়া। আবার ব্যাপক কালোবাজারি হয়। তাই চাষীরা সমস্ত দিক থেকেই সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। এইরকম পরিস্থিতিতে চাষীরা প্রশাসনিক সাহায্য চাইছেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণের দাবি-সহ শুধু শস্যবীমার অন্তর্গত কৃষকদেরই নয় ভাগচাষীদেরও ক্ষতিপূরণের আওতায় আনার দাবি জানানো হয় এদিন। চাষীরা জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণের পরিমাপ শুধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমেই নয়, সরকারি কর্তাদের সরাসরি মাঠে নেমে পরিমাপ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষিঋণ ও বিদ্যুৎ বিল মকুব করতে হবে। ফসলের লাভজনক দাম দিতে হবে। এদিন উপস্থিত ছিলেন জেলা সম্পাদক অনিরুদ্ধ কুণ্ডু, সভাপতি দনা গোস্বামী, উৎপল রায় প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

Exit mobile version