E Purba Bardhaman

নিষিদ্ধের আবেদন সত্ত্বেও মহরমে ব্যাপক হারেই বাজল ডিজে

DJ has been playing in a large scale even after the ban was announced in Muharram

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- শোকের শোকযাত্রায় বেপরোয়া বাজল ডিজে। অথচ খোদ বর্ধমান শহরের কেন্দ্রীয় মহরম কমিটির পক্ষ থেকে সমস্ত মহরম কমিটিগুলিকে এই ডিজে বন্ধের আবেদন জানানো হয়েছিল এবার। কিন্তু তবুও বাজল বেপরোয়া ডিজে – যা নিয়ে শহর জুড়ে শুরু হয়েছে চর্চা। প্রতিবছরের মত এবছরও পূর্ব বর্ধমান জেলায় তথা বর্ধমান শহরে মহরম উপলক্ষ্যে বাদ পড়ল না ব্লেড মাতন, জিনজি মাতন ও আগুনের উপর দিয়ে হাঁটা। হাসান – হুশেনের মৃত্যুতে শোকের বর্হিপ্রকাশে যখন রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত কেউ কেউ তখন এবারেও মহরমের শোকযাত্রায় বাজল ব্যাপক হারে ডিজে। যা্কে সম্পূর্ণ বিপরীত ঘটনা বলেই আখ্যা দিচ্ছেন মহরম কমিটির লোকজন। শুধু তাই নয়, যা নিয়ে প্রশাসনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন বর্ধমান শহরের কেন্দ্রীয় মহরম কমিটি। কমিটির সম্পাদক স্বপন মুখার্জ্জী জানিয়েছেন, তাঁরা জেলা প্রশাসনের সর্বত্র লিখিতভাবে মহরমে ডিজে নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়েছিলেন। এমনকি প্রতিটি মহরম কমিটিকেও তাঁরা এব্যাপারে ডিজে ব্যবহার বন্ধ করার জন্য জানিয়েছিলেন। কিছু মহরম কমিটি তাঁদের আবেদনে সাড়া দিয়ে ডিজে ব্যবহার না করলেও অনেকেই ব্যবহার করেছেন। তাঁদের তিনি ধিক্কার জানিয়েছেন। একইসঙ্গে স্বপনবাবু এদিন প্রশাসনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলে জানিয়েছেন, বারবার লিখিতভাবে আবেদন জানানো হলেও পুলিশ ডিজে বন্ধের ব্যাপারে কোনো সহায়তাই করেনি। যদিও এব্যাপারে বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় জানিয়েছেন, তাঁরা মহরম কমিটি গুলিকে ডিজে ব্যবহার না করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও অনেকে তা ব্যবহার করেছেন বলে শুনেছেন। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। এদিকে, মহরমের শোকযাত্রায় ব্যাপক হারে তলোয়ারের ব্যবহার নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে শহর জুড়ে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, চলে আসা রীতি বন্ধ করার জন্য প্রশাসনিক কোনো নির্দেশ তাঁরা পাননি। তবে নতুন করে কোনো মহরম কমিটিকে তাঁরা অনুমোদন দেননি। এদিকে, মঙ্গলবার বর্ধমান শহরের শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী কালাপাহাড়ির পীরস্থানে চাদর চড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন বর্ধমান জেলা পরিষদের মেন্টর উজ্জ্বল প্রামাণিক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। স্বপনবাবু এদিন বলেন, কলেজ জীবনে তিনি প্রতিবছর আসতেন কালাপাহাড়ির এই ঢালে। বর্ধমানে থাকলে তিনি আসার চেষ্টা করেন আসার। জানিয়েছেন, সকলের কল্যাণ চেয়েছেন তিনি এদিন।

Exit mobile version