E Purba Bardhaman

গৃহপালিত পশু মৃত্যুর হার কমেছে, বেড়েছে আয়ের উৎস – স্বপন দেবনাথ

domestic animal mortality decreased increased income sources swapan debnath

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- এখন আর সেভাবে গৃহপালিত পশুদের কারণ অকারণে মৃত্যু হয় না। কারণ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গ্রামে গ্রামে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত গৃহপালিত পশুদের লালন পালনে বড় ভূমিকা নিয়েছেন প্রাণী বন্ধু, প্রাণী মিত্রা এবং প্রাণী সেবী কর্মচারীরা। আর তাই বর্তমানে গ্রামে গ্রামে গৃহপালিত পশুদের মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবেই কমে এসেছে। রবিবার বর্ধমান টাউন হলে পশ্চিমবঙ্গ্ প্রাণী বন্ধু, প্রাণী মিত্রা এবং প্রাণী সেবী কর্মচারী ফেডারেশনের ৩য় রাজ্য সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে এসে একথা বলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এদিন তিনি বলেন, প্রাণী যে সম্পদ, সেটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই ভেবেছেন। প্রাণীদের প্রতিপালন করে যে আয়ের পথ সৃষ্টি করা যায় তাও করে দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বপনবাবু বলেন, প্রাণী মিত্রাদের মনে রাখতে হবে যেহেতু তাঁরাও মা তাই প্রাণীদের নিজেদের সন্তানদের মতই প্রতিপালন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রাণী বন্ধু, প্রাণী মিত্র এবং প্রাণী সেবী কর্মচারীরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ান, তাঁরা পশুদের খোঁজখবর নেন,তাঁদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করেন। তাই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তাঁদের সাইকেল দেবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিন সম্মেলন থেকে ৯ দফা দাবী পেশ করা হয়। সে ব্যাপারে স্বপনবাবু জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার এই দাবী নিয়ে বিবেচনা করছেন। স্বপনবাবু জানিয়েছেন, বর্তমানে রাজ্যে ২৩ শতাংশ দুধে এবং ৩০ শতাংশ ডিমে ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ১ বছরের মধ্যে এই ঘাটতি শুধু পূরণই নয়, ডিম ও দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চলেছে রাজ্য। এদিন তিনি প্রাণী স্বাস্থ্য বীমার ওপর জোড় দেবার আবেদন জানান। অন্যান্যদের মধ্যে এদিন সম্মেলনে হাজির ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বিবেকানন্দ পাণ্ডে, বর্ধমান জেলা পরিষদের মেণ্টর উজ্জ্বল প্রামাণিক প্রমুখরাও।

Exit mobile version