E Purba Bardhaman

মাইনে চাওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে গাড়ির চালকের লাঠির ঘায়ে মৃত্যু চিকিৎসক পত্নীর

Driver of their vehicle killed the wife of a doctor. Doctor was injured and under treatment at the Burdwan Medical College & Hospital. Driver was arrested

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান শহরের খোসবাগান এলাকার তুলা লেনে মাইনে চাওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে গাড়ির চালকের লাঠির ঘায়ে মৃত্যু হল চিকিৎসক পত্নীর। মারধরে জখম হয়েছেন চিকিৎসকও। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করা হয়েছে। তাঁর মাথায় কয়েকটি স্টিচ হয়েছে। তবে, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিস। মারধরে ব্যবহৃত লাঠিটি পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম মৌসুমী নাগ (৫৮)। ঘটনায় শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বর্ধমান থানার আইসি পিন্টু সাহা চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করেন। বর্ধমান থানার এক অফিসার বলেন, মাইনে চাওয়া নিয়ে বচসার জেরে ঘটনাটি ঘটেছে। গাড়ির চালককে আটক করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাঃ সুব্রত নাগের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি চালানোর কাজ করে শহরের বাবুরবাগ কালীতলার বাসিন্দা তপন দাস। সোমবার দুপুরে মৌসুমী দেবীর কাছে মাইনে দাবি করে তপন। মাস শেষ হওয়ার আগে মাইনে দিতে রাজি হননি মৌসুমী দেবী। এনিয়ে গাড়ি চালকের সঙ্গে চিকিৎসক পত্নীর ঝগড়া শুরু হয়। সেই সময় বাথরুমে ছিলেন চিকিৎসক। বাইরে বেরিয়ে এসে মাস শেষ হওয়ার আগে কেন মাইনে দেওয়া হবে তা গাড়ি চালকের কাছে জানতে চান তিনি। প্রতিবারের মতো মাসের ১ তারিখে মাইনে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়ে তপন। একটি মোটা লাঠি দিয়ে সুব্রতবাবুকে মারধর শুরু করে সে। তাঁকে বাঁচাতে যান মৌসুমী দেবী। তাঁর মাথায় লাঠির ঘা বসিয়ে দেয় তপন। ঘরের আয়া ফিরোজা বিবি তপনকে আটকাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। লাঠির ঘায়ে তাঁর হাত জখম হয়। রক্তাক্ত জখম হয়ে লুটিয়ে পড়েন মৌসুমী দেবী। গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা চিকিৎসক ও তাঁর স্ত্রীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক মৌসুমী দেবীকে মৃত ঘোষণা করেন। বাড়ির পরিচারিকা সাবিত্রী হাজরা বলেন, বছর খানেক বাড়িতে কাজ করছি। মাইনে নিয়ে কোনওদিন কোনও সমস্যা হয়নি। তবে, এদিন তপন কেন এতটা উত্তেজিত হয়ে পড়ল তা বুঝতে পারছি না। বাড়ির রান্নার দায়িত্বে থাকা কর্মী জবা পরামানিক জানিয়েছেন, তপন দাস প্রায় ২৫ বছর ধরে ওই পরিবারের গাড়ি চালাচ্ছে। বাড়ির মালিক ও তাঁর পত্নীর সঙ্গে মাঝে মধ্যেই তপনের ঝামেলা হত। এদিন ঝামেলার সময় তিনি ওই বাড়িরই চার তলায় ছিলেন। টাকা চেয়ে না পাওয়ায় চিকিৎসক ও তাঁর স্ত্রীকে তপন মারধোর শুরু করে। সেই সময় তিনি থানা এবং অন্যান্যদের ফোন করতে গেলে তাঁকেও হুমকি দেয় তপন।

Exit mobile version