E Purba Bardhaman

সেচের জলের অভাবে আউশগ্রামে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর এলাকায় বোরো চাষ বন্ধ, সংকটে চাষীরা

Due to lack of irrigation water, boro cultivation has stopped in about 5 thousand hectares in Ausgram

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমানের আউশগ্রাম ২ ব্লকের এড়াল ও ভাল্কী অঞ্চলে সেচের জল না পাওয়ায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর এলাকায় বোরো চাষে ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে। দ্রুত সেচের জলের ব্যবস্থা করতে মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানালো কৃষি ও কৃষক বাঁচাও কমিটির পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি। এলাকার কৃষক বিশ্বজিত সিনহা, অরবিন্দ ঘোষ, রাজু শেখ প্রমুখরা জানিয়েছেন, এই এলাকায় কোনো শিল্প নেই। ফলে এলাকার কয়েক হাজার কৃষককে কৃষির উপর নির্ভর করেই জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। তাঁরা জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে সেচখাল থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় বোরো চাষে জল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এই অঞ্চলের কয়েক হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে। এর সঙ্গে চলতি সময়ে বন্ধ ১০০ দিনের কাজ। ফলে দিনমজুর, ক্ষেতমজুরদের আর্থিক সংকট আরও বেড়েছে। এবছর ১০০ দিনের কাজ না থাকায় দিনমজুর ক্ষেতমজুরদের এলাকার চাষের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। চাষীরা জানিয়েছেন, এবছর আমন ধানে শোষক পোকার আক্রমণে বহু ধান নষ্ট হয়ে গেছে। তাই অর্থনৈতিক দিক থেকে এই অঞ্চলে কৃষক ও ক্ষেতমজুররা ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছেন। এই অর্থনৈতিক সংকট থেকে বাঁচার জন্য এড়াল অঞ্চলের মালদাপাড়া গেট পর্যন্ত সেচের জল দেওয়ার দাবী জানানো হয়েছে জেলাশাসকের কাছে। এই জল পেলে এই অঞ্চলে আবার বোরো চাষ শুরু হবে। চাষীরা জানিয়েছেন, এর আগে এই সমস্যার বিষয়ে আউশগ্রাম ২ ব্লকের বিডিওর কাছে, ব্লক কৃষি আধিকারিক, পঞ্চায়েত প্রধানকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। চাষীরা জানিয়েছেন, গত প্রায় ৩ বছর ধরে এই এলাকার সেচ ক্যানেলগুলি সংস্কার করা হচ্ছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। ফলে এই সেচ খালে ডিভিসির জল দেওয়া বন্ধ রয়েছে। উপরন্তু, এই এই এলাকার মাটিতে মোরামের ভাগ বেশি হওয়ায় মাটির স্বাভাবিক জলধারণ ক্ষমতা অনেক কম। একইসঙ্গে অজয় নদ থেকেও এই সমস্যা সমাধানে কোনো রকম সুযোগ আজও সৃষ্টি হয়নি। ফলে দীর্ঘকাল ধরেই এই এলাকার চাষীরা সংকটের মধ্যে রয়েছে। এদিন কার্জন গেটের সামনে কৃষি ও কৃষক বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে চাষীরা বিক্ষোভও দেখান। বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক বাঁচাও কমিটির জেলা সম্পাদক অনিরুদ্ধ কুন্ডু, বিশ্বনাথ সিনহা, সামসুল আহম্মদ প্রমুখরা।


Exit mobile version