E Purba Bardhaman

ইলেকশন কমিশন বিজেপির হিজ মাস্টার্স ভয়েস – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Election Commission BJP's His Master's Voice - Mamata Banerjee

মাধবডিহি (পূর্ব বর্ধমান) :- ইলেকশন কমিশন বিজেপির হিজ মাস্টার্স ভয়েস। বিজেপি যা করে দিচ্ছে, তাই করছে। তাই জুন মাস পর্যন্ত ইলেকশন চলছে। বাংলায় বাম-ডান সব এক। বিজেপির দুটো বাজপাখির চোখ একটি কংগ্রেস, আর একটি সিপিএম। শুক্রবার রায়নার মাধবডিহির আলমপুরে বর্ধমান পূর্বের প্রার্থী ডা. শর্মিলা সরকারের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার সভায় বক্তব্য রাখতে এসে এভাবেই বিজেপিকে তুলোধোনা করে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনই বর্ধমানে সাই কমপ্লেক্সে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন মমতা বলেন, আমি বুঝতে পারলাম না, একটা প্রধানমন্ত্রীর কোনটা বলা উচিত কোনটা নয়, সেই জ্ঞানও নেই। বলছে রাহুল গান্ধী কেন রায়বেরিলিতে দাঁড়াতে গেল। অদ্ভুত ব্যাপার। কে কোথায় দাঁড়াবে তাতে তোমার কি? ২৬ হাজার চাকরি আপনি খেয়েছেন, আপনার দল খেয়েছে, আর আপনি মিথ্যা কথা বলছেন। মমতা বলেন, আমি শিক্ষকদের চাকরি যেতে দেবো না। সিপিএম আর বিজেপি একসঙ্গে টিচারদের চাকরি খেয়েছে। আয়নায় নিজের মুখ দেখুন। এরা ব্যাঙের গালেও চুমু খায় সাপের গালেও চুমু খায়। ওরা তো বলেছিল বছরে ১০ হাজার চাকরি দেবো। দিয়েছো? সবাই চোর, আর তুমি সাধু। এমন সাধু গোটা দেশে এমন সাধু পাওয়া যায়না। সব মিথ্যা প্রচার করছে। আমি সন্দেশখালিতে এমন কিছু ঘটতে দিই নি। জমি জায়গা নিয়ে ছোট সমস্যা ছিল, মিটিয়ে দিয়েছি। সন্দেশখালি বলছেন, আপনি তো রাতে রাজভবনে ছিলেন একটা বাচ্চা মেয়ের উপর যে ব্যবহার করা হয়েছে তা নিন্দাজনক। হৃদয়বিদারক। একবার নয়, দুবার কাজের মেয়েকে মলেষ্টেশন করেছে রাজ্যপাল। মেয়েটা কাঁদছিল। বলেছে আর রাজভবনে কাজ করতে যাবো না। লজ্জা করে না, মিথ্যা কথা বলার জন্য দাঁত খুলে যায় না। বলছে তৃণমূল চোর, তোদের কাছে তো তৃণমূল চুনোপুঁটি। চোরের মাস্টার মাইন্ড তো মধুবাবু। সব চোর ডাকাত মাফিয়াকে ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে দিয়ে কালোটা সাদা হয়ে যাচ্ছে। এতটাকা খরচ করছেন নিজের প্রচারের জন্য। আইএএস, আইপিএসদের ফোন করে বলাচ্ছেন বিজেপিকে সাথ রহনা হ্যায়। কি অন্যায়। ১৫০০ রাজ্যপুলিশকে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাঁদের ভোটের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে দিল না। কেন দিল না। হুংকার দিয়ে এদিন মমতা বলেন, ওদের ভোট দেওয়ার অধিকার না দিলে আমরা আমাদের ফোর্স ফিরিয়ে আনবো, যা পারার করে নেবেন। ইলেকশন কমিশন বেআইনি কাজ করছে। সারা দেশ ছি ছি করছে। এরজন্য যতদূর লড়াই করতে হয়, ততদূর লড়াই করবো। মধু বিধু দুই ভাই, মিথ্যা কথা বলতে নাই। হঠাৎ করে ভোট জাম্প করলো কি করে? প্রশ্ন মমতার। মমতা বলেন, বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছি বলে মিথ্যাচার করছে ভাঁওতাবাজ। নাম না করে মোদীকে লুটেরা ও ভাঁওতাবাজ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। মমতা বলেন, বর্ধমান আমাদের গর্ব। বর্ধমানকে একটু বেশি ভালোবাসি। রাস্তাঘাট, কিষান মাণ্ডি, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার, নিম্ন দামোদর এলাকায় বন্যা কবলিত এলাকার জন্য স্থায়ী ত্রাণ শিবির করা হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান জুড়ে অনেক ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। সেগুলির সংস্কার করা হচ্ছে। ব্রিজ করা হচ্ছে, গঙ্গার ওপর সেতু হচ্ছে। জিজ্ঞেস করুন মধুবাবুদের। কেন বেকারি বাড়ছে। ১০০ দিনের টাকা দিতে পারছো না, আর কোটি কোটি টাকা খরচ করে নিজের মুখ দেখিয়ে বেড়াচ্ছ? নিজের আমিত্ব প্রচার করছো। ডাকাতদের ক্ষমা করবেন না। চাকরি দিতে পারো না, মুখ বন্ধ করো। আলমপুরের এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে এদিন উপস্থিত ছিলেন অরূপ বিশ্বাস, রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, শম্পা ধাড়া, বামদেব মণ্ডল, দেবু টুডু, মহম্মদ ইসমাইল, বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী ডা. শর্মিলা সরকার প্রমুখরা। আলমপুরের সভা সেরে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্বস্থলীর সমুগ্রগড় হাই স্কুল মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন।

Exit mobile version