E Purba Bardhaman

মোদিবাবুর কথায় ইলেকশন চলছে, আর বাংলাকে পুড়িয়ে মারছে – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Elections are being conducted as advised by Modi Babu, and Bengal is burning - Mamata Banerjee

মেমারী (পূর্ব বর্ধমান) :- মোদিবাবুর কথায় ইলেকশন চলছে। আর বাংলাকে পুড়িয়ে মারছে। বৃহস্পতিবার মেমারীর গন্তার ফুটবল মাঠে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ডা. শর্মিলা সরকারের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একের পর এক কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দাগেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, মেমারী আমার কাছে নতুন নয়। ছাত্রাবস্থা থেকে আসছি। মেমারিতে আসলে করন্দার কথা মনে পড়ে। ৪ জনকে পিটিয়ে খুন করেছিল। একটা বাচ্চাকে খুন করে মুড়ির টিনে ভরে দিয়েছিল। মমতা বলেন, মোদিবাবুদের কথায় ইলেকশন কমিশন গরমে পুড়িয়ে মারছে। বুঝছেন কিছু খেলাটা? মানুষকে মানুষ মনে করে না। ৭ তারিখ আবার ভোট আছে। চেন্নাইয়ে ৪০ টা সিট একদিনে ভোট হয়ে গেল। আর বাংলার ওপর মোদিবাবুদের খুব রাগ। যত পারো তত বাংলাকে খাটাও, অত্যাচারিত করো। মমতা বলেন, শুধু মিথ্যা বলে। মধু-বিধু দুই ভাই। বিনা পয়সায় গ্যাস দিচ্ছে বলে মিথ্যা বলছে। বলছে ঘরে ঘরে জল পৌঁছাচ্ছে। জমি রাজ্যের, রক্ষণাবেক্ষণ রাজ্যের, পাইপ রাজ্যের। ওরা কিচ্ছু করেনি। যা করার রাজ্য সরকার করেছে। কোনো কারণে যদি ওরা ক্ষমতায় আসে কি হবে জানিনা। গরিবের কথা জানে না। শ্রমিকদের কথা ভাবে না। ৩ বছর ১০০ দিনের কাজে টাকা দেয়নি। বাড়ি, রাস্তা, স্টিল ইন্ডাস্ট্রি, স্মল ইন্ড্রাষ্ট্রিতেও বাংলা ১ নম্বরে। তিনি বলেন, বিজেপি চেয়েছিল ফুড কর্পোরেশনের পচা চাল রেশনে দিই। কিন্তু আমরা চেয়েছি কৃষকদের কাছ থেকে ভাল চাল কিনে দিই। তাই দিচ্ছি। ৯ কোটি মানুষকে আমরা রেশন দিচ্ছি। কেন্দ্র জিএসটির ট্যাক্স তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। ৬ লক্ষ ৮৪ হাজার কোটি টাকা। আমাদের টাকা দিচ্ছে না, ৩০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া। কেন্দ্র কিছু দেয়নি। যা দিয়েছি আমরাই। অথচ সকাল সন্ধ্যা ওনার ছবি। মাছ, ডিম মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটকে। ওগুলো খাবে না তো কি খাবে? বার্লি খাবে, কলাপাতা খাবে?  এদিন মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ায় মমতা যাঁরা ভাল ফল করেছেন তাঁদের শুভেচ্ছার পাশাপাশি যাদের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে তাদের হতাশ না হওয়ার আবেদন করেছেন। এমনকি অভিভাবকদেরও সতর্ক করেছেন ছেলেমেয়েদের কিছু বলবেন না। ওরা আবার ভাল ফল করবে। মমতা এদিন বলেন, কর্মশ্রী প্রকল্প চালু করেছি। ৫০ দিন কাজ পাবেই। প্রয়োজনে ৬০ দিনের কাজও পাবে। তিনি বলেন, বাংলা আবাসে ১১ লক্ষ মানুষের বাড়ির টাকা ডিসেম্বরে পেয়ে যাবেন। মমতা এদিন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের উল্লেখ করে বলেন, মিউটেশনে এখন আর টাকা দিতে হয়না। কৃষকের ফসলের জন্য বীমা করা হয়েছে। মমতা এদিন ঘোষণা করেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য আলাদা হেল্থ কার্ড দেবো। যাতে তাঁরা যেখানে থাকেন সেখানেই চিকিৎসা করাতে পারবেন। ওদের ভোটটা দিতে বলবেন। তিনি বলেন, ৬০-এর ওপর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ২ চালু হয়েছে। বার্ধ্যক্যভাতা চালু হয়েছে। মমতা বলেন, বাংলায় সিপিএম কংগ্রেসের জোট নেই ঘোঁট আছে। এদিনও তিনি বিজেপিকে হুংকার দিয়ে বলেন, বিজেপিকে ক্যা, এন আর সি করতে দেব না। সংবিধান নষ্ট করতে দেব না। অন্যদিকে, বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী ডা. শর্মিলা সরকারকে নিয়ে যে অপপ্রচার চলছে এদিন তাও খণ্ডন করেন মমতা। তিনি বলেন, শর্মিলা খুব ভাল মেয়ে। ও পড়াতো। ও চাকরি ছেড়ে এসেছে। যেহেতু ওই দপ্তরটা আমি নিজেই দেখি তাই আমি ওর পদত্যাগ গ্রহণ করেছি। ওটা আমাকেই দেখতে হয়। যারা বলছে ও জিতে পালাবে। সেটা মিথ্যা। এদিন এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি, স্বপন দেবনাথ, জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক শম্পা ধাড়া, অলোক মাঝি, মধুসূদন ভট্টাচার্য, মেমারী ব্লক সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জী প্রমুখরা।

Exit mobile version