E Purba Bardhaman

কমিশনের নির্দেশে নির্বাচন কর্মীদের ৩০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হল

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ভোটার তালিকা তৈরীর জন্য নির্বাচন কমিশনের কত নম্বর ধারাটি প্রযোজ্য ? টোল ফ্রি কোন নাম্বার রয়েছে? কি ধরণের প্রতিবন্ধকতাকে এরোনেট হিসাবে গ্রহণ করা হয়? এইআরওদের নিযুক্তির ক্ষেত্রে কোন্ আইনটি প্রযোজ্য? এরকম প্রায় ৩০টি এক নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হল পূর্ব বর্ধমান জেলার নির্বাচন দপ্তরের এ ই আর ওদের। ভোটার তালিকায় নতুন নাম তোলা, সংশোধন প্রভৃতি কাজের সঙ্গে যুক্ত নির্বাচন দপ্তরের অধীন যে সমস্ত ইআরও এবং অতিরিক্ত ই আর ও রা রয়েছেন – তাঁরা আদপেই নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন আইন সম্পর্কে কতটা জানেন? এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে দুদিন ধরে পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট ১৬০জনের রীতিমত লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হল। মোট ৩০ নম্বরের পরীক্ষায় দু-একজন তুলনামূলক টেনেটুনে পাশ মার্ক পেয়ে গেলেও অধিকাংশ পরীক্ষার্থীই ৮০ শতাংশেরও বেশি নাম্বার পেলেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা নির্বাচন আধিকারিক উত্পল কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে দুদিন ব্যাপী একটি সার্টিফিকেশন কোর্স করা হয়েছে। প্রথম দিন যাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন শুক্রবার তাঁদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ভোটার তালিকায় নাম তোলা, সংশোধন প্রভৃতি কাজের ক্ষেত্রে খুঁটিনাটি বিষয়ে তাঁদের অবগত করানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরণের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনা এবছরই প্রথম। এদিন এই সার্টিফিকেশন কোর্সে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক হিসাবে হাজির ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অতিরিক্ত জেলাশাসক বাসব বন্দোপাধ্যায়। উত্পলবাবু জানিয়েছেন, প্রায় সমস্ত পরীক্ষার্থীরাই এদিন ভাল ফল করেছেন। সিংহভাগই ৩০ নম্বরের মধ্যে ২৮ নম্বর্ পর্যন্ত পেয়েছেন।

Exit mobile version