বিপুন ভট্টাচার্য, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ফের মেয়াদ উত্তীর্ণ মাংসকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো বর্ধমান শহরে। সোমবার রাতে বর্ধমান শহরের তথা খোদ বর্ধমান পুরসভা লাগোয়া মার্কেট কমপ্লেক্সের একটি নামী বেসরকারী কোম্পানীর কাউণ্টার থেকে মিলল মেয়াদ উত্তীর্ণ একাধিক মুরগীর মাংসের প্যাকেট। সম্প্রতি গোটা রাজ্য জুড়ে ভাগাড় কাণ্ডের জেরে বর্ধমান শহরেরও একাধিক হোটেলে হানা দিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ পচা মাংসের হদিশ পান। এর মধ্যে মাত্র একটি হোটেলকেই বন্ধ করে দেবার নির্দেশ জারী হয়। কয়েকদিন এই ঘটনার জেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি এবং ভয় ভীতি তৈরী হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেগুলি দূর হয়ে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। কিন্তু সোমবার রাতে আরামবাগের একটি বেসরকারী সংস্থার মুরগীর মাংসের প্যাকেটে মেয়াদ উত্তীর্ণ মুরগীর মাংস মেলার ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা শহর জুড়েই। জানা গেছে, বর্ধমান শহরের রবীন্দ্রপল্লীর বাসিন্দা দেবব্রত চৌধুরী সোমবার পৌরসভার নীচে একটি বেসরকারী বিপণী থেকে প্যাকেটজাত মুরগীর মাংস (লেগ পিস) কেনেন। কিন্তু এরপরই তিনি লক্ষ্য করেন প্যাকেটের গায়ে কোনও তৈরী বা মেয়াদ উর্ত্তীণ তারিখ লেখা নেই। তিনি দোকানের কর্মীদের এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যায়। তিনি সোমবার রাতেই বর্ধমান থানায় অভিযোগ করেন। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে বর্ধমান থানার পুলিশ ওই কাউন্টারে হানা দেন। বাজেয়াপ্ত করেন প্রচুর পরিমাণে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যাকেটজাত মাংস। এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে। যদিও ওই কাউণ্টারের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার প্রদীপ দাস জানিয়েছেন, এই ঘটনার পিছনে কোনো কর্মীই দায়ী। কোম্পানী কোনো বাজে মাংস বিক্রি করে না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ প্যাকেটের গায়ে মেয়াদের তারিখ তুলে দেওয়াতেই এই বিপত্তি। তিনি দাবী করেছেন, প্রতিদিনই টাটকা মাংস এই কাউণ্টারে আসে। এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে ওই কাউণ্টারে বর্ধমান থানার পুলিশ হানা দিয়ে উদ্ধার করে প্রচুর মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যাকেটজাত মুরগীর মাংস। এই ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে শহর জুড়ে।