বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আগামী ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারী থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ ৫ জেলায় বোরো চাষে ডিভিসির মাধ্যমে সেচের জল দেবার ঘোষণার পর পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসী ২ ব্লকের ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জলের দাবী জানানো হল জেলা প্রশাসনের কাছে। গলসী ২ ব্লকের সাটিনন্দী গ্রাম পঞ্চায়েত, কুরকুবা গ্রাম পঞ্চায়েত, খানো গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ এলাকার কৃষকরা এই এলাকার বুক চিরে যাওয়া ওয়ান বিসি ক্যানেলের ১৩৯ চেন পর্যন্ত ডিভিসির সেচের জল পাওয়ার জন্য স্মারকলিপি দেওয়া হল জেলা প্রশাসনের কাছে। কুরকুবা গ্রামের চাষী সফর মল্লিক, সামসুর রহমান মোল্লা প্রমুখরা জানিয়েছেন, এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ১৮ হাজার একর পরিমাণ কৃষি জমি কেবলমাত্র ডিভিসির এই ওয়ান বিসি সেচ ক্যানেলের ওপরই নির্ভরশীল। এমনকি এই এলাকায় ডিভিসি সেচ খাল ছাড়া অন্য কোনো জলের উত্স না থাকায় ডিভিসির এই সেচখালের ওপর প্রায় ২০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষী সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল আমন ও বোরো চাষে। চাষীরা জানিয়েছেন, ২০২১-২০২২ মরশুমে তাঁরা এই সেচখালের মাধ্যমে জল পাননি। ফলে ভয়াবহ সংকটের মুখে রয়েছেন তাঁরা। এমতবস্থায় আগামী জানুয়ারী মাসে যে জল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে তাতে এই ওয়ান বিসি ক্যানেলের ১৩৯ চেন পর্যন্ত যাতে জল পৌঁছায় তারই আবেদন জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কাছে। জেলা প্রশাসনের সমস্ত স্তরের আধিকারিকদের পাশাপাশি এই আবেদন তাঁরা পাঠিয়েছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী সহ গলসীর বিধায়ক নেপাল ঘরুই এবং খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীন বাগের কাছেও। কারণ খণ্ডঘোষ বিধানসভার অধীনে গলসীর একটি অঞ্চল রয়েছে। এব্যাপারে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন, সোমবার ডিভিশনাল কমিশনারের উপস্থিতিতে বৈঠক হলেও কোথায় কোথায় জল দেওয়া হবে সে ব্যাপারে ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখে জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তারপর তা জানিয়ে দেওয়া হবে। সভাধিপতি জানিয়েছেন, বিশ্ব ব্যাঙ্কের টাকায় ইতিমধ্যেই জেলায় বিভিন্ন সেচ ক্যানেলের সংস্কার করা হয়েছে। যেহেতু এবারে জল দেবার পরিমাণ কম, এবং সেচ ক্যানেলের সংস্কারের বিষয়টিও রয়েছে – তাই আলোচনা করেই এবারে জল দেওয়া হবে।