E Purba Bardhaman

মিড-ডে মিলে দুনীর্তির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এফআইআর

প্রতীকি চিত্র।

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান ১নং ব্লকের ফরিদপুর জাতীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল পরিচালনায় আর্থিক দুনীর্তির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল ব্লক প্রশাসন। মিড-ডে মিলের অনিয়ম নিয়ে বর্ধমান-১ ব্লকের বিডিও দেবদুলাল বিশ্বাস বর্ধমান থানায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে সরকারি অর্থ আত্মসাতের ধারায় (৪০৯ আইপিসি) মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বর্ধমান থানার এক অফিসার বলেন, সমস্ত নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে মিড-ডে মিল দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে ২০১৬ সালে। অভিযোগ পেয়ে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সৌমেন মণ্ডল ও বর্ধমান -১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ স্কুলে গিয়ে তদন্ত করেন। তদন্তে বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়ে। তদন্তে জানা যায়, ছুটির দিনেও স্কুলে শতাধিক পড়ুয়া মিড-ডে মিল খেয়েছে বলে হিসাবে উল্লেখ রয়েছে। এমনকি রবিবারেও পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল দেওয়া হয়েছে বলে খাতায় কলমে উল্লেখ রয়েছে। ১০৮৪ কেজি চালের হিসাব পাওয়া যায় নি। এছাড়াও শৌচালয় তৈরীর ক্ষেত্রেও প্রায় ২০ হাজার ২১০ টাকার হিসাব দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক। এনিয়ে তাকে শো-কজ করা হয়। তিনি শোকজের উত্তর দেন। যদিও তার উত্তরে সন্তুষ্ট হন নি বিডিও। বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা শাসকের (খাদ্য) নজরে আনা হয়। তিনি এফআইআর করার জন্য বিডিওকে নির্দেশ দেন। এরপরই বিডিও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
বর্ধমান ১নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী দাস রজক জানিয়েছেন্, ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান তিনি এবং বর্ধমান ১নং পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দিলীপ চক্রবর্তী। ওই স্কুলে গিয়ে শৌচালয় এবং মিড ডে মিল পরিচালনায় বেশ কিছু ত্রুটি ও দুর্নীতি দেখতে পান। এরপরই গোটা বিষয়টি তাঁরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকেও জানান। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও এব্যাপারে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি গোটা বিষয়টি নিয়ে ফের ফাল্গুনী দাস রজক জেলা পরিষদের সভাধিপতি, জেলাশাসক এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক (খাদ্য)-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপরই বর্ধমান ১নং বিডিও দেবদুলাল বিশ্বাসকে নির্দেশ দেওয়া হয় ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার জন্য। স্কুল বন্ধ থাকায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

Exit mobile version