E Purba Bardhaman

বর্ধমানে ১২১ জোড়া পাত্রপাত্রীর গণবিবাহ

Governor praised Narendra Modi when he came to Burdwan University. Trinamool Chhatra Parishad supporters protested against the governor by showing black flag. SFI protested to the West Bengal Governor Dr. C.V. Ananda Bose

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগে বর্ধমানে আয়োজিত হল ১২১ জোড়া পাত্রপাত্রীর গণবিবাহ। একই ছাদের তলায়, একই সাথে সানাই ও আজানের মেলবন্ধনে চারহাত এক করে বিবাহ সম্পন্ন হল। উদ্যোক্তাদের দাবী, সর্বধর্ম সমন্বয়ে এটাই হয়ত পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় গণবিবাহ। বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী কালীমাতা গণবিবাহ কমিটির উদ্যোগে মন্দির সংলগ্ন মাঠে শুক্রবার রাতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন ১২১ জোড়া পাত্রপাত্রী। এই মহাযজ্ঞের প্রধান উদ্যোক্তা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। তিনি বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলর থাকাকালীনই কঙ্কালেশ্বরী কালীবাড়ির মাঠে এই গণবিবাহ শুরু করেন। এবছর ১০ম বর্ষ। নবদম্পতিরে মধ্যে ১৪ জোড়া মুসলিম, ২ জোড়া খ্রীস্টান ও বাকিরা সবাই হিন্দু। প্রত্যেকের ধর্মের রীতি রেওয়াজ মেনেই বিয়ে হল তাঁদের। এদিনের বিয়ের আসরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মলয় ঘটক, চন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, স্বপন দেবনাথ,পার্থ ভোমিক প্রমুখ। এছাড়াও বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, শম্পা ধাড়া, সাংসদ অসিত মাল, সুনীল মন্ডল প্রমুখরাও সাক্ষী থাকলেন। উপস্থিত ছিলেন পুরোহিত ও কাজীরা। নবদম্পতিদের দেওয়া হয়েছে সোনার আংটি আর নাকছাবি। দেওয়া হয়েছে কালার টিভি, বিছানা, সাইকেল, সেলাই মেশিন থেকে আরও অনেক দানসামগ্রী। এছাড়াও দেওয়া হয়েছে চাল, আলু, আটা থেকে একমাসের মত রেশন। ছেলেপক্ষ আর কনেপক্ষের ৫০ জন আত্মীয়ের ভুরিভোজের ব্যবস্থাও ছিল। আরও নজরকাড়া বিষয় হল এই পাত্র পাত্রীরা কেবলমাত্র বর্ধমানের নয়। খোকন দাস জানিয়েছেন, রাজ্যের অন্যান্য জেলা এমনকি ভিন রাজ্য ঝাড়খণ্ড, দিল্লি ও রাজস্থান থেকেও পাত্রপাত্রীরা এসেছেন।

Exit mobile version