গলসী (পূর্ব বর্ধমান) :- রবিবার বিকালে দুর্গাপুর থেকে প্রচার সেরে ফেরার পথে গলসী ১ ব্লকের রাকোনা ফুটবল মাঠে আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টে যোগ দিলেন দিলীপ ঘোষ। রীতিমতো পেশাদারি খেলোয়াড়ের মত কিছুক্ষণ খেললেনও। এদিনই দুর্গাপুরের আমরাই-এর উত্তরণ এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ নির্বাচনী প্রচার করছিলেন। সেই মিছিল চলাকালীন আচমকা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের দুই নেতা শেখ আমিনুর রহমান ও শেখ শাহাবুদ্দিনের গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় বচসা। বচসা থেকে হাতাহাতি, তারপরেই ব্যাপক উত্তেজনা। সেই উত্তেজনার মাঝে পড়ে প্রার্থী কীর্তি আজাদ সামনের একটি মন্দিরের ভেতর আশ্রয় নেন। বন্ধ করে দেওয়া হয় মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার। উত্তেজনা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় তৃণমূল নেতৃত্ব এবং পুলিশকে। এদিন রাকোনায় এসে এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল আগে নিজের ক্যান্ডিডেটকে সামলাক। মন্দিরে গিয়ে লুকাতে হচ্ছে মারের চোটে। পাবলিক হিসেব বুঝিয়ে দেবে। নিজেদের মধ্যে মারপিট করাটা কি সংস্কৃতি নাকি? দিলীপবাবু বলেন, একটাই বলবো আগে পার্টি সামলা তারপর দেখবি বাংলা। টিএমসি-র ঝামেলা মেটাতে মেটাতে ভোটটা পার হয়ে যাবে। উনি আমাকে ধমকি দিচ্ছেন, চমকাচ্ছেন ওনার পার্টির লোকেদের সামলান। ভোট তো বর্ধমান, দুর্গাপুরের লোকেরা দিয়ে দেবে। কাকে দেবে সেটাও তাঁরা ঠিক করে রেখেছেন। এইরকম বহিরাগত, উতপাতিয়াদের ভোট দেবে না। ওকে আগে বাংলা জানতে বলুন। ও কী বলছেন বাংলার মানুষ বুঝতেই পারছেন না।