বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়াের্ডর প্রাক্তন কাউন্সিলর সৈয়দ মহম্মদ সেলিম ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে এক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। এ বিষয়ে যুবকের পরিবারের তরফে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে মারধর, খুনের চেষ্টা প্রভৃতি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। যদিও ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। বর্ধমান থানার এক অফিসার বলেন, মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেলিম। তিনি বলেন, ওই যুবক আমাকে গুলি করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। রায়ান পঞ্চায়েত এলাকায় ঘোরাঘুরির সময় স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে ধরে পেটায়। খবর পেয়ে আমার লোকজন ওকে উদ্ধার করে আনে। পুলিসকে খবর দিই। পুলিস ওকে হাসপাতালে ভরতি করে। যুবককে মারধরে আমি আদৌ জড়িত নই। একটা চড় আমি ওকে মেরেছি এমনটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। মিথ্যা মামলায় আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমাকে গুলি করার জন্য এলাকাবাসী ওকে গণপিটুনি দিয়েছে। সেদিনের ঘটনা মনে পড়লে শিউরে উঠি। সময়মতো নিজেকে রক্ষা করতে না পারলে আমাকে মরতে হত।
অভিযোগে বর্ধমান শহরের লোকো মোড় এলাকার বিজয় সিং জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ তাঁর দাদা কৃষ্ণ সিংকে প্রাক্তন কাউন্সিলর সেলিম ও তাঁর লোকজন মারতে মারতে তুলে নিয়ে যায়। মারধরে দাদা গুরুতর জখম হন। পুলিস দাদাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করে। সময়মতো পুলিস না পৌঁছালে আমার দাদাকে প্রাণে মেরে ফেলা হত। পুরানো কেস তোলার জন্য দাদাকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তা তুলতে রাজি না হওয়ায় দাদাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য সেলিম ও তাঁর দলবল মারধর করে।
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে রাতে বাইকে চেপে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে কৃষ্ণ ও অজয় সিং গুলি চালায় বলে পুলিসে অভিযোগ করেছেন সেলিম। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি কারতুজ উদ্ধার করেছে পুলিস। ঘটনার পরই কৃষ্ণ ও অজয় এলাকা ছেড়ে পালায় বলে অভিযোগে জানিয়েছেন সেলিম।