E Purba Bardhaman

ব্যাগ বদল করে সার ব্যবসায়ীর ৪ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রতারক

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ব্যাগ বদল করে সার ব্যবসায়ীর ৪ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে মাধবডিহি থানার পুলিস। ধৃতের নাম মির আজফর আলি ওরফে গোলাপ। বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার পাহাড়পুরে তার বাড়ি। সোমবার ভোররাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার কথা ধৃত কবুল করেছে বলে পুলিসের দাবি। তার সঙ্গে আরও দু’জন প্রতারণায় জড়িত বলে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছে পুলিস। ধৃতকে এদিনই বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। টাকা উদ্ধার করতে এবং বাকি দু’জনের হদিশ পেতে ধৃতকে ১০ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ধৃতের ৭ দিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেন সিজেএম।
পুলিস জানিয়েছে, মাধবডিহি থানার পিপলদহ গ্রামের সৌমেন্দ্রনাথ মালিকের সারের ব্যবসা রয়েছে। কিছুদিন আগে নিজেকে শম্ভু সিংহ পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁর দোকানে আসে। বাজার থেকে অনেক কম দামে সার দেওয়ার কথা সে জানায়। তার কাছ থেকে সার নেওয়ার জন্য আরও কয়েকবার সে দোকানের মালিককে ফোন করে। পরে আরও একবার দোকানে গিয়ে তার কাছ থেকে সার কেনার জন্য চাপাচাপি করে প্রতারক। গত ১৫ নভেম্বর বেলা দেড়টা নাগাদ একটি মারুতি গাড়িতে করে তিনজন সৌমেন্দ্রনাথের সারের দোকানে আসে। কিছুক্ষণ আলোচনার পর সার কিনতে রাজি হন দোকানের মালিক। সারের দাম ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ঠিক হয়। তিনি একটি ব্রিফকেসে ভরে টাকা দেন। প্রতারকরা সেদিনই বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ সারের গাড়ি দোকানে পৌঁছে যাবে বলে জানায়। সার পৌঁছানোর পর ব্রিফকেস চালকের হাতে দেওয়ার জন্য বলে প্রতারকরা। এরপর তারা গাড়ি নিয়ে চলে যায়। নির্ধারিত সময়ের পরও সারের গাড়ি না পৌঁছানোয় দোকানের মালিক প্রতারকদের দেওয়া নম্বরে ফোন করেন। কিন্তু, তারা ফোন ধরেনি। এতে দোকানের মালিকের সন্দেহ হয়। তিনি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ‘থ’ হয়ে যান। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, টাকার ব্রিফকেস বদলে ফেলা হয়েছে। টাকা ভির্ত ব্রিফকেসের বদলে অন্য একটি ব্রিফকেস রেখে গিয়েছে প্রতারকরা। এরপরই দোকানের মালিক ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে পুলিস মারুতির চালকের সন্ধান পায়। হুগলির পুরশুড়া থানার কেলেপোতায় গিয়ে স্থানীয় থানার সাহায্য নিয়ে মাধবডিহি থানার পুলিস মারুতির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার কাছ থেকে প্রতারকদের বিষয়ে কিছু তথ্য পায়। ঘটনার দিন প্রতারকদের সে আরামবাগে নামিয়ে দিয়েছিল বলে জানায়। মারুতি চালকের দেওয়া তথ্য এবং প্রতারকদের মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে ঘটনায় আজফরের জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিস।

Exit mobile version