Site icon E Purba Bardhaman

চাকরিতে উন্নতি সহ্য করতে না পেরে নৃশংসভাবে বন্ধুকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করল যুবক

Friend killed a friend. At Burdwan Town

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- গ্রাম থেকে তুলে এনে নিজেই বন্ধুকে রোজগারের রাস্তা দেখিয়েছিল। কিন্তু সেই বন্ধুই নিজের যোগ্যতায় দ্রুত উঁচু পদে উঠে যাওয়ায় প্রতিহিংসায় শেষ পর্যন্ত সেই বন্ধুকেই নৃশংস্যভাবে খুন করল অন্য বন্ধু। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল বর্ধমান শহরে। নিহত যুবকের নাম টুটুল মণ্ডল (১৯) । বাড়ি বীরভূমের সাঁইথিয়ার পাথুরি গ্রাম এলাকায়। নিহত টুটুল মণ্ডলের বাবা প্রভাত মণ্ডল জানিয়েছেন, গত জানুয়ারী – ফেব্রুয়ারী মাসে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা মেধাবী ছাত্র টুটুল মণ্ডলকে তাঁদেরই গ্রামের বিকাশ চন্দ্র ঘড়াই বর্ধমানের ওই রাইস মিলে কাজের ব্যবস্থা করে দেন। Friend killed a friend. At Burdwan Town শ্রমিক হিসাবে কাজে ঢুকলেও শিক্ষিত হওয়ার সুবাদে মিল মালিক পক্ষ তাকে শ্রমিক থেকে সুপারভাইজার পদে উন্নীত করেন। বেতনও বৃদ্ধি হয় তার। আর তারপর থেকেই প্রতিহিংসায় জ্বলতে থাকেন টুটুলের বন্ধু বিকাশ। প্রভাতবাবু জানিয়েছেন, পুজোর সময় নবমীর দিন টুটুল বাড়ি যায়। কিন্তু পরের দিনই বিকাশ তাকে মিলে কাজ আছে বলে নিয়ে চলে আসেন। প্রভাতবাবু জানিয়েছেন, টুটুলের এই কাজের ক্ষেত্রে উন্নতির ঘটনায় বিকাশ টুটুলকে প্রায়ই হুমকি দিচ্ছিল। Friend killed a friend. At Burdwan Town মিলের কাজ ছেড়ে দেবার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এমনকি মিলেই তাকে নানাভাবে অত্যাচারও করছিল। তাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছিল। প্রভাতবাবু জানিয়েছেন, এই হুমকির বিষয়ে টুটুল বাড়িতেও জানিয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, বুধবার রাতে বিকাশই টুটুলের কাকা সুমন মণ্ডলকে ফোন করে জানান, টুটুল গুরুতর অসুস্থ। এই খবর শুনে রাতেই তাঁরা বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে আসেন এবং টুটুলের রক্তাক্ত মৃতদেহ শনাক্ত করেন। সুমন মণ্ডল জানিয়েছেন, টুটুলের মাথার পিছনে ভারী লোহার বস্তু দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। তার গলায় পেঁচানোর দাগও রয়েছে। নৃশংস্যভাবে তাকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিকাশের ফাঁসির আবেদন করেছেন টুটুলের পরিবারের লোকজন। Friend killed a friend. At Burdwan Town এব্যাপারে বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় জানিয়েছেন, খুনের বিষয়টি বিকাশ স্বীকার করেছেন। খুন করার পরই বৃহস্পতিবার রাতেই সে বর্ধমান থানায় আত্মসমর্পণের চেষ্টাও করে। কিন্তু ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়। যদিও বৃহস্পতিবার সকালে সে নিজে এসেই থানায় আত্মসমর্পণ করে এবং টুটুলকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে বিকাশ জানিয়েছে, টুটুলের উন্নতি সে পছন্দ করছিল না। তার ভাল লাগছিল না। কারণ সুপারভাইজার হওয়ায় টুটুলই তাকে কাজের নির্দেশ দিচ্ছিল। এটা তিনি সহ্য করতে পারছিলেন না। আর তাই বৃহস্পতিবার রাতে মদ খেয়ে রাগের মাথায় টুটুলকে খুন করেন।

Exit mobile version