কাঞ্চননগরের কঙ্কালেশ্বরী মন্দির তালাবন্ধ করে রাখা হল, পুজো দিতে পারলেন না বিজেপি সাংসদ
admin
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- কিছু মানুষ মন্দিরকে পিতৃদত্ত সম্পত্তি ভেবে যা খুশি করছে। পূজো দিতে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু মন্দির খোলা বা বন্ধের নির্দিষ্ট নিয়ম আছে – তা মানা হচ্ছে না। শুক্রবার সকালে গান্ধী সংকল্প যাত্রায় বেড়িয়ে বর্ধমানের ঐতিহাসিক কাঞ্চননগরের কঙ্কালেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে মন্দিরের তালাবন্ধ দেখে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্রজিত সিং অহলুবালিয়া। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে বর্ধমান শহরের কোর্ট কম্পাউণ্ডের গান্ধীমূর্তিতে মালা দিয়ে এদিনের সংকল্পযাত্রা শুরু করেন সাংসদ সুরেন্দ্রজিত সিং অহলুবালিয়া। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী, বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার দলীয় পর্যবেক্ষক দেবাশীষ সরকার সহ জেলার সমস্ত কার্যকর্তাও। গান্ধী মূর্তিতে মালা দেবার পর প্রথম পদযাত্রা শুরু হয় কাঞ্চননগরের উদয়পল্লী থেকে রথতলা পর্যন্ত। তার আগে বিজেপি সাংসদ যান কঙ্কালেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে। কিন্তু এদিন সকাল ৯টার সময় মন্দিরে গিয়ে দেখেন মন্দিরে তালা ঝুলছে। এরপরই রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তিনি। অভিযোগ করেন, তিনি আসবেন বলে আগে থেকেই তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে তিনি দমছেন না। বরং শনিবার ফের তিনি আসবেন পুজো দিতে। যদিও এদিন তিনি যে পুজোর উপচার নিয়ে এসেছিলেন তা কঙ্কালেশ্বরী মন্দিরের গেটেই রেখে প্রণাম করে চলে যান। এরপর বাজেপ্রতাপপুর সাবজোলা ব্রীজ থেকে বর্ধমান ষ্টেশন, ষ্টেশন থেকে কাঁটাপুকুর, নীলপুর বটতলা থেকে নীলপুর পীরতলা এবং বীরহাটা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে কার্জনগেট পর্যন্ত বিভিন্ন পদযাত্রায় অংশ নেন। এদিন অহলুবালিয়া বলেন, মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে গোটা ভারতবর্ষ জুড়েই এক বছর ধরে নানান কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। আজকের দিনে গান্ধীজীর অহিংসা নীতিকে ব্যবহার করে হিংসার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, গান্ধীজীর আদর্শ স্বচ্ছ ভারতকে গত ৫ বছরে মোদিজী রূপায়িত করেছেন। প্রত্যেক বাড়িতে টয়লেট তৈরী করে দিয়েছেন। আগামী দিনে জল সংরক্ষণ, গাছ লাগানো সহ ২০২২ সালের মধ্যে প্রত্যেক ছাদহীন ব্যক্তির মাথায় ছাদ তৈরী করে দেবার উদ্যোগ নিয়েছেন। মানুষকে নিরোগ করতে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করেছেন। অহলুবালিয়া এদিন বলেন, সন্ত্রাস শেষ কথা নয়, গান্ধীজির অহিংসাই শেষ কথা – এটাই এই সংকল্পযাত্রায় তুলে ধরা হচ্ছে। এদিকে, এদিন কাঞ্চননগরের কঙ্কালেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে তিনি মন্দিরে তালা বন্ধ দেখায় ক্ষুব্ধ বিজেপি সাংসদ জানান, তিনি প্রশাসনের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে এসে মন্দিরের তালা খুলে শনিবার পুজো দেবেন। তিনি জানিয়েছেন, কেউ কেউ মন্দিরটাকে নিজেদের সম্পত্তি ভাবছেন। এটা হবে না। তিনি জানিয়েছেন, এদিন মন্দিরে পুজো দিতে আসার বিষয়ে আগে থেকেই মন্দিরের পুরোহিতকে তাঁরা জানিয়েছিলেন। জানিয়েই এদিন এসেছিলেন। কিন্তু তারপরেও এসে দেখলেন মন্দিরের গেটে তালা ঝুলছে, পুরোহিত নেই। তাকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এই চক্রা্ন্তকে তিনি ভাঙবেনই।