E Purba Bardhaman

খেলাধুলোর উন্নতিতে স্পোর্টস ভিলেজ গড়তে চায় মোহনবাগান, বর্ধমানে জানালেন সচিব দেবাশিস দত্ত

General Secretary Debashish Dutta said that Mohun Bagan wants to build a sports village to improve sports.

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- খেলাধুলোর উন্নতিতে স্পোর্টস ভিলেজ গড়তে চায় মোহনবাগান। স্পোর্টস ভিলেজে ফুটবলের পাশাপাশি অন্যান্য খেলার ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে খেলোয়াড়দের অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। যা সেন্টার অব এক্সেলেন্স হবে। স্পোর্টস ভিলেজ গড়ার জন্য জমি দেখার কাজ চলছে। রবিবার বর্ধমানের এগ্রিকালচার ফার্ম এলাকায় একটি ফুটবল প্রশিক্ষণ শিবিরের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে একথা জানান মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত। তিনি ছাড়াও এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোহনবাগান সমর্থকদের নয়নের মণি হোসে মার্সিও রামিরেজ ব্যারেটো ও প্রাক্তন গোলরক্ষক সংগ্রাম মুখোপাধ্যায়। সবুজ তোতাকে দেখতে এদিন প্রচুর মোহন–সমর্থক মাঠে উপস্থিত ছিলেন। ব্যারেটোর নামে জয়ধ্বনি দিয়ে তাঁরা স্বাগত জানান। সমর্থকদের উল্লাস দেখে আপ্লুত ব্যারেটো। তাঁকে ঘিরে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখে ব্যারেটো বলেন, আমাকে দেখে মানুষ খুশি হন, এটা আমার খুব ভালো লাগে। এখানকার মানুষের ফুটবলপ্রেম আমি উপলব্ধি করতে পারি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মোহন–সচিব বলেন, খেলার উন্নতিতে দেশে ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আরও কাজ করা দরকার। মোহনবাগানের একটা স্পোর্টস কমপ্লেক্স করা উচিত। যা সেন্টার অব এক্সেলেন্স হবে। সেখানে শুধু ফুটবল নয়, হকি, বাস্কেট বল, টেবিল টেনিস সহ আরও অন্যান্য খেলার ব্যবস্থা থাকবে। একটা পূর্ণাঙ্গ স্পোর্টস কমপ্লেক্স হবে সেটি। যা মোহনবাগান ভিলেজ নামে হবে। ভিলেজ গড়ার জন্য জমি দেখার কাজ চলছে। দুর্গাপুরে মোহনবাগান সেইল অ্যাকাডেমি প্রসঙ্গে দেবাশিস বলেন, যে কোনও জিনিস করতে গেলে কনস্ট্রাক্টিভভাবে তা করতে হয়। এক্ষেত্রে স্পনসরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, আমাদের অ্যাকাডেমিতে কোনও স্পনসর ছিল না। বিভিন্নভাবে টাকা তোলা হতো। পরের দিকে সেটা নিয়ে সিবিআই তদন্ত হয়। কাজ করতে হবে বলে করলাম, এভাবে কিছু হয় না। কাজের মধ্যে ধারাবাহিকতার প্রয়োজন। অ্যাকাডেমিতে গঠনমূলকভাবে কিছু হচ্ছিল না। সেজন্য তিনবছর পর আমি সেখান থেকে বেরিয়ে চলে আসি। সংগ্রাম বলেন, এরাজ্যের মাঠ ও মাটি গোলকিপারদের পক্ষে খুব উপযুক্ত। সেকারণে গোলরক্ষক হিসেবে বাঙালিদের দেশে আধিপত্য রয়েছে। তবে, বর্তমানে কিছু সমস্যা হচ্ছে। সবাই মিলে আমরা তা পূরণ করার চেষ্টা করছি। আগামী দিনে বাংলা থেকে ভালো গোলকিপার উঠে আসবে বলে আশা রাখি।
উল্লেখ্য, এদিন দেবাশিস, ব্যারেটোরা তালিতে সাইয়ের ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ঘুরে দেখেন। সেখানকার পরিকাঠামো ও মাঠ ঘুরে দেখার পর দেবাশিস বলেন, ভিলেজের জন্য সাই কমপ্লেক্সে গিয়েছিলাম। আমি দেখলাম মানেই তা চূড়ান্ত নয়। অন্যান্যদেরও সিদ্ধান্তের বিষয় এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। সাই কর্তৃপক্ষেরও সিদ্ধান্তের বিষয় রয়েছে। এখানে সাই–তো মৃতপ্রায় নয়, মৃত। এখানে ভিলেজ গড়তে গেলে খরচও অনেক।

Exit mobile version