মেমারি (পূর্ব বর্ধমান) :- রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের লকার থেকে উধাও হল কয়েক ভরি সোনার গয়না। কিভাবে সোনার গয়না গায়েব হল তা বুঝে উঠতে পারছেন না লকারের মালিক। ব্যাংক কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে ধোঁয়াশায়। ঘটনার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন লকারের মালিক। ঘটনার কথা জানিয়ে মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তার ভিত্তিতে কেস রুজু হয়েছে। কিন্তু, ঘটনার কিনারা করতে গিয়ে ফাপড়ে পড়েছে পুলিশ। ঘটনার কিনারায় একমাত্র ভরসা ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা। মাস তিনেক আগে শেষবার লকার খুলেছিলেন মালিক। তারপরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার কিনারা করা আদৌ সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় মেমারি থানার পুলিশ। কিভাবে লকার থেকে সোনা গায়েব হল তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পুলিশ। লকার থেকে বাইরের কারও সোনা গায়েব করা সম্ভব কিনা তা ভাবাচ্ছে পুলিশকে। তবে, লকারের মালিক ব্যাংক ম্যানেজার ও লকারের চাবির দায়িত্বে থাকা ব্যাংক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় সমস্যা বেড়েছে পুলিশের। মেমারি থানার এক অফিসার বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। লকার যেভাবে খোলা-বন্ধ করা হয় তাতে বাইরের কারোর সোনা গায়েব করার সম্ভাবনা খুবই কম। ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার সূত্র ধরে হয়ত ঘটনার কিনারা করা সম্ভব। তবে, ৩ মাসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দোষীকে শনাক্ত করা খুব সহজ নয়।
মেমারি থানার আলিপুরের বাসিন্দা অশোক কুমার দাসের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির দেবীপুর শাখায় একটি লকার রয়েছে। কিছুদিন আগে ব্যাংকের এক কর্মী বাড়িতে এসে তাকে ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। ব্যাংকে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, লকারের লক ঠিকমতো লাগানো ছিল না। লকার খুলে দেখা যায়, সেখানে রাখা কয়েক ভরি সোনার গয়না গায়েব হয়ে গিয়েছে। সোনার গয়নার বাক্সটি লকারের ভিতর পড়ে রয়েছে। তার অভিযোগ, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সোনা গায়েবের সঙ্গে জড়িত। যদিও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, লকারের চাবি মালিকের কাছে থাকে। ব্যাংকের কর্মী লকারের অপারেশনের সময় সেখানে থাকেন না। কাজেই লকারের মধ্যে কি রাখা থাকছে তা জানা সম্ভব নয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষও এ নিয়ে আভ্যন্তরীণ তদন্ত চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, তদন্ত সবে শুরু হয়েছে। ঘটনার কিনারায় সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।