গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- জামালপুরে অনার কিলিংয়ের ঘটনায় ধৃত মহম্মদ মুস্তাফা ও মহম্মদ জাহিদকে সঙ্গে নিয়ে খুনে ব্যবহৃত পাথরের টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিস। ঘটনাস্থল থেকে ধৃতদের দেখানো একটি জায়গা থেকে পুলিস পাথরটি উদ্ধার করে। পুলিসি হেপাজতে থাকা জাহিদ ও মুস্তাফাকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেছে পুলিস। তাদের নিয়ে কলকাতায় বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার বাড়িতে হানা দিয়ে মোবাইলটি উদ্ধার করেছে পুলিস। ধৃতদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করেছে পুলিস। পুরো প্রক্রিয়াটি ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছে পুলিস। শুক্রবার ধৃতদের ফের আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।।
উল্লেখ্য, ৩১ আগস্ট জামালপুর থানার ময়না এলাকায় নয়ানজুলির পাশ থেকে এক যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর উরুতে লেখা ৫টি ফোন নম্বর ও এক যুবকের নাম থেকে প্রেমিকের সন্ধান পায় পুলিস। প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে মৃতদেহটি বিহারের মোজফফরপুরের চাক এলাহাদাদের জাহানা খাতুনের বলে জানতে পারে পুলিস। ভিন ধর্মের ভাব-ভালোবাসা মেনে নিতে না পেরে জাহানাকে তার বাবা ও দাদা মিলে খুন করেছে বলে জানতে পারে পুলিস। তদন্তে নেমে পুলিস কলকাতার বেনিয়াপুকুর থানা এলাকা থেকে জাহানার বাবা মুস্তাফা ও দাদা জাহিদকে গ্রেপ্তার করে। গাড়িতে করে জামালপুরে নিয়ে এসে জাহানাকে তারা খুন করেছে বলে কবুল করে তাঁর দাদা ও বাবা। পরিবারের সম্মান বাঁচাতে তারা জাহানাকে খুন করেছে বলে জানায় মুস্তাফা ও জাহিদ। টিআই প্যারেডে ধৃতদের শনাক্ত করেছে জামালপুর থানার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। জাহানার প্রেমিকের বয়ানও নথিভূক্ত করেছে পুলিস।