বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আর জি কর কাণ্ড-সহ বর্ধমানের নান্দুড়ে আদিবাসী ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বর্ধমানে বিক্ষোভ মিছিল করল ডিওয়াইএফআই, এসএফআই এবং গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। একইসঙ্গে এদিন জেলা পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে নান্দুড়ের ঘটনায় দোষীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হল। এদিন এই বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় কাছারি রোডে। মিছিলকে আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। সংস্কৃতি লোকমঞ্চের সামনে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। সেখানেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। এই অবস্থান বিক্ষোভে এসে যোগ দেন ডিওয়াইএফআই -এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, আর জি করে ভাঙচুরের ঘটনায় লালবাজার থেকে ইতোমধ্যেই মীনাক্ষীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে এদিন মীনাক্ষী জানান, “নিশ্চয় যাবো। তবে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলব। যে পুলিশ দেহ লোপাট করে দিতে পারে, যে পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ লোপাট করে দিতে পারে, আর জি কর ভাঙা-কে রক্ষা করতে পারে না, শৌচাগারে ঢুকে বসে থাকে, যে পুলিশ নার্সদের জোড়হাত করে বলছেন– ‘আপনার চুড়িদারটা আমাকে দিয়ে দিন’, যাতে পুলিশ নিজেকে লুকাতে পারে, সেই পুলিশকে তো বিশ্বাস করতে পারছি না।” এদিন মীনাক্ষী বলেন, আর জি কর ভাঙচুরের জন্য এসএফআই, ডিওয়াইএফআইকে দায়ী করা হচ্ছে। এটা প্রমাণ করতে হবে কিন্তু। নাহলে ছাড়বো না। তিনি বলেন, আমরাও চাই, খুনিদের, ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। সেজন্যই আমরা পথে নেমেছি। কিন্তু এর সঙ্গে চাই, যাঁরা খুনিদের ধর্ষকদের আড়াল করছে তাদেরও শাস্তি চাই। সেজন্যই একটাই দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। মীনাক্ষী বলেন, সবার আগে একজনকে সরাতে হবে, যাঁকে কামদুনির তদন্তে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। নাহলে কিছুই পাওয়া যাবে না। ক্ষুব্ধ মীনাক্ষী বলেন, তাঁদের আটকানোর জন্য পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। কিন্তু মা বোনদের নিরাপত্তা দিতে এই পুলিশদের দেখা পাওয়া যায়না। তিনি বলেন, ১৪ আগস্ট রাত্রি ৩টে পর্যন্ত তাঁরা আর জি কর পাহারা দিয়েছেন। পুলিশকে সহায়তা করেছেন। পালটা মীনাক্ষী এদিন বলেন, কারা ভাঙচুর করলো? প্ল্যান এ কার্যকর না হওয়ার জন্য প্রমাণ লোপাট করতে প্ল্যান বি- গুন্ডা পাঠিয়ে ভাঙচুর করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে।