বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- দামোদর নদীর গতিপথ পাল্টে দিয়ে বালি মাফিয়ারা নিজেদের ব্যবসায়িক সুবিধার্থে নদীর বুকেই ইঁট, পাথর মাটি আর বালি দিয়ে রাস্তা তৈরীর করার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব। অভিযোগ উঠেছে, জামালপুর, মেমারি, রায়না ও খন্ডঘোষ এলাকায় দামোদরের বুকে এই ধরণের অস্থায়ী কিন্তু পাকা রাস্তা তৈরী করে দেদার বালি তোলা চলছে। অথচ গ্রীণ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশিকা অনুসারে ১৫ জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত নদীর বুক থেকে বালি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধও। জেলাশাসক জানিয়েছেন, এব্যাপারে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি)কে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, শুধু রাস্তা নয়, দামোদরের উপরে কাঠের শালবল্লা ফেলে তৈরী হয়েছে অস্থায়ী সেতুও। যে সেতুর উপরে জেসিবি মেশিন তুলে বালি ভর্তি করা হচ্ছে লরিতে। জেলা প্রশাসন সূত্রেই জানা গেছে, এই ধরণের অস্থায়ী রাস্তা তৈরীর জন্য সেচ দপ্তর বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে অজয় ও দামোদরে প্রায় ২৫টি ক্ষেত্রে অনুমোদন দিয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রতিটির জন্য সিকিউরিটি মানি বাবদ ৪ লক্ষ টাকা করে সেচদপ্তরকে দিতে হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, কোনোভাবেই নদীর গতিপথ আটকানো যায় না। এ ব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) প্রণব বিশ্বাস জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতেই মেমারী থানার পুলিশ এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা ১০টি বালির লরীকে আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে ৪দিনে মোট ৯০টি গাড়িকে আটক করা হয়েছে। মোট ৪০ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়েছে জরিমানা বাবদ।