জামালপুর (পূর্ব বর্ধমান) :- সরকারী নিষেধাজ্ঞা আছে, আছে সরকারী নজরদারীও। কিন্তু সেই সরকারী নিয়মকেই কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে নদীর বুক চিরে শয়ে শয়ে লরীতে তোলা হচ্ছে বালি। শুধু বালি তোলাই হচ্ছে না। রীতিমত নদীর বুকে জেসিবি মেশিন, ছাঁকনি মেশিন দিয়ে তোলা হচ্ছে বালি। অথচ প্রতিবছরের মত এবছরও গত ১৫ জুন থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নদীর বুক থেকে বালি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধই ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে, গত সোমবার থেকেই জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা লাগাতার বালির ওভারলোর্ডিং বন্ধ করতে রাস্তায় নেমেছেন। কিন্তু তারপরেও প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে বালিঘাট থেকেই সরকারী নিয়মকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখনও বালি তোলা চলছে সেখানে সরকারী নজরদারী কোথায় ? এমনকি এব্যাপারে সরকারী কড়া পদক্ষেপই বা কেন নেওয়া যাচ্ছে না? অপরদিকে, জামালপুরের শম্ভুপুরে দামোদরের ঘাটে গিয়ে দেখা গেল, রীতিমত নিশ্চিন্তেই বেপরোয়াভাবে নদীর বুকে দাঁড়িয়ে রয়েছে লরীর সার। চলছে জেসিপি এবং ছাঁকনি মেশিন দিয়ে বালি তোলার কাজও। অথচ সরকারী নিয়মানুযায়ী জেসিবি মেশিন দিয়ে বালি তোলা সম্পূর্ণভাবেই নিষিদ্ধ। এদিকে, এব্যাপারে জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, তাঁরা এব্যাপারে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) প্রণব বিশ্বাসও জানিয়েছেন, জেসিবি মেশিন দিয়ে বালি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। গোটা বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন। অন্যদিকে, ঘাটের বালি তোলার কাজে নিযুক্ত এক কর্মী নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন, তাঁদের মালিক জানিয়েছেন কোনো অসুবিধা নেই। তাই তাঁরাও নির্ভয়ে বালি তোলার কাজ করে যাচ্ছেন।