বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- এবার বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে মহিলারা গর্জে উঠলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হাতে নিয়ে। নারী বিদ্বেষী ও বাংলার নারীদের অপমানকারী বিজেপিকে রুখতে তাঁরা সাফ জানিয়ে দিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা স্বেচ্ছায় নেতৃত্বদের হাতে তুলে দেবেন। সোমবার নজিরবিহীন এই ঘটনা ঘটল বর্ধমান পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনে। এই কর্মী সম্মেলনে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে এবং তাদের উৎখাত করতে প্রয়োজনে লক্ষ্মীভান্ডারের টাকা স্বেচ্ছায় নেতৃত্বকে তুলে দেওয়ার অঙ্গীকার করলেন বর্ধমানের ৪ নং ওয়ার্ডের বৃহত্তর বাজেপ্রতাপপুরের মহিলারা। সোমবার বাজেপ্রতাপপুরের খেলা হবে মাঠে ৪ নং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলন ও জনগর্জন সভার প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, ওয়ার্ড কাউন্সিলার সেখ নুরুল আলম, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি স্বরাজ ঘোষ, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোনার, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক সেখ মহম্মদ আলি সহ অন্যান্যরা। এই সভাতেই তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি মনিপুর-সহ একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে নারীদের উপর নির্যাতন ও বিজেপি নেতাদের একের পর এক নারীবিদ্বেষী মনোভাব ও অবমাননাকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হন মহিলা নেতৃত্বরা। সেই সঙ্গে মহিলাদের অবমাননাকারী বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দিতে এলাকায় আগামীদিনে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনের খরচও তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে বহন করবেন বলে ঘোষণা করেন। বিধায়ক খোকন দাস বলেন, বর্ধমান জুড়ে মহিলাদের গর্জনই আগামীদিনে বিজেপিকে দামোদরের জলে ছুড়ে ফেলে দেবে। বাংলায় নারীদের অবমাননাকারী বিজেপির কোনো ঠাঁই নেই। সভার আহ্বায়ক তথা কাউন্সিলার নুরুল আলম বলেন, বৃহত্তর বাজেপ্রতাপপুর সম্প্রীতির পীঠস্থান। এখানে হিন্দু, মুসলিম, শিখ ও খ্রিষ্টান পাশাপাশি বাস করেন। তাই বিভেদকারী বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বাঁধছেন সকলে, যার ফল লোকসভা ভোটেই বুঝতে পারবে বিজেপি। এদিনও তিনি জানিয়েছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যে বিরোধীদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছে এদিন মহিলারা তা প্রমাণ করেছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে আন্দোলনের খরচ জোগান দেবার কথা বলে।