বিপুন ভট্টাচার্য, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :-দীর্ঘ জল্পনার পর বর্ধমান পুর্ব লোকসভা আসনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষনার পরই ময়দানে নেমে পড়লেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। মঙ্গলবার জেলা কংগ্রেস ভবনে এসে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে কিভাবে এই আসনে ভোট যুদ্ধে লড়বেন তার রুপরেখা তৈরী করেন। সিদ্ধার্থবাবু জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই এই আসনে কখনো সিপিএম, কখনো তৃণমুল ক্ষমতায় থাকলেও মানুষের কোনো উপকার করেনি তারা। কৃষক তার ফসলের দাম পাচ্ছে না। গরীব মানুষ সরকারী সুবিধা পাচ্ছে না। তিনি এই বঞ্চনাকেই হাতিয়ার করে লড়াই করতে চাইছেন। অন্যদিকে, এদিন গলসীর কয়েকটি অঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারে আসেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। তিনি এদিন বলেন, তিনি নিজে একজন সাংসদ হয়ে ৩০০ কোটি টাকার মালিক হতে পারেননি। অথচ বৌমারা কি করে ৩০০ কোটি টাকার মালিক হল? বাংলার মানুষ এর জবাব চায়। মঙ্গলবার গলসীর ভূঁড়ি, সাঁকো অঞ্চল এবং গলসীর বাজার এলাকায় ভোটের প্রচারে এসে ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে গেলেন সৌমিত্র খাঁ। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের স্ত্রীর ২ কেজি সোনা নিয়ে দমদম বিমানবন্দরে আসা নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে তরজা যখন দিল্লীতেও আছড়ে পড়েছে, সেই সময় সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন, একটা পরিবার কোটি কোটি টাকার মালিক হবে আর বাংলার মানুষ তা মেনে নেবে? এটা কখনই হবে না। জেতার ব্যাপারে পরিপূর্ণ আশাবাদী সদ্য তৃণমূল ত্যাগী সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন, গোটা দেশ জুড়ে মোদি ঝড় চলছে। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থানে চলে যাবে। বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীরাও প্রচারে পিছিয়ে নেই। সিপিএমের বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা আসনের প্রার্থী আভাষ রায় চৌধুরী বর্ধমান পুরসভার ৩৩ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচার চালালেন। এদিন সিপিএমের ৩নং লোকাল কমিটির পার্টি অফিস থেকে ভোটের প্রচার মিছিল শুরু করে শহরের তেলমারুই রোড দিয়ে সর্বমঙ্গলা মন্দির এলাকা, বিসিরোড, ষাঁড়খানা গলি, রাধানগর, ঢলদিঘী পাড়া, রাধানগর পাড়া-সহ বেশ কয়েকটি পাড়ার মানুষদের কাছে ভোটের প্রচার করেন। অপরদিকে, প্রচারের অঙ্গ হিসাবে মঙ্গলবার বর্ধমান জেলা পরিষদে বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার,দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন বর্ধমান–দুর্গাপুর লোকসভা আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতা। যদিও এদিন সমস্ত বিধায়ক না আসায় বৈঠক ভেস্তে যায়। প্রাথমিকভাবে প্রত্যেককে নিজের নিজের এলাকায় ব্যাপকভাবে প্রচারে নেমে পড়ার আবেদন জানান মমতাজ সংঘমিতা।