E Purba Bardhaman

বিদ্যুতের খরচ কমাতে ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বর্ধমান জেলা পরিষদে চালু হচ্ছে সোলার পদ্ধতি

বিপুন ভট্টাচার্য, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বিদ্যুতের অত্যাধিক খরচ কমাতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে চালু হচ্ছে সোলার পদ্ধতি। ইতিমধ্যেই বর্ধমান জেলা আদালতে বসানো হয়েছে এই সোলার পদ্ধতি। বর্ধমান আদালতের বিদ্যুতের খরচ জোগানোর পর উদ্বৃত্ত উত্পাদিত বিদ্যুত উল্টে বিক্রি করা হচ্ছে বিদ্যুত দপ্তরকেও। বর্ধমান আদালতের পাশাপাশি এবার বর্ধমান জেলা শাসকদের দরবারেও বসানো হচ্ছে এই সোলার পদ্ধতি। ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের চেম্বারের ছাদে বসানো হয়েছে সোলারের ৭৪টি প‌্যানেল। জেলাশাসকের দরবারের পর এবার বিদ্যুতের খরচ সাশ্রয় করতে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বসাতে চলেছেন সোলার প্যানেল। ইতিমধ্যেই কলকাতার একটি বেসরকারী সংস্থাকে দিয়ে জেলাপরিষদ ভবনের ওপরে বসানো হয়েছে ১০৪টি প্যানেল। উল্লেখ্য, বর্তমানে অধিকাংশ সরকারী দপ্তরেই বিদ্যুতের খরচ অনেকটাই বেড়েছে। অধিকাংশ দপ্তরেই এয়ারকণ্ডিশান মেসিন বসানোর ফলে বিদ্যুতের খরচও বেড়েছে। আর তাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে এবার সরকারী দপ্তরে দপ্তরে লাগানো শুরু হয়েছে এই সোলার সিস্টেম। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদে দুটি মিটারের মাধ্যমে গড়ে প্রতি ৩ মাস অন্তর বিদ্যুত বিল দিতে হচ্ছে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত সরকারী দপ্তরেই খরচ কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাই এই সোলার পদ্ধতি ব্যবহার করে এক ধাক্কায় অনেকটাই খরচে রাশ টানতে চলেছে জেলা প্রশাসন। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জেলা পরিষদে এই সোলারের মাধ্যমে বিদ্যুত উত্পাদন শুরু হয়ে যাবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু জানিয়েছেন, প্রতি ৩ মাস অন্তর বিদ্যুত খরচের জন্য প্রচুর পরিমাণে টাকা খরচ হচ্ছিল। তাই তাঁরা এই খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। এরপরই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ওই সোলার পদ্ধতি বসানোর সিদ্ধান্ত নেন। ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই সোলার পদ্ধতি বসানো হচ্ছে। এর ফলে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের বিদ্যুতের খরচ যেমন কমানো সম্ভব হবে, তেমনই ছুটির দিনের উদ্বৃত্ত বিদ্যুত বিদ্যুত দপ্তরকে তাঁরা বিক্রিও করতে পারবেন। সভাধিপতি জানিয়েছেন, তাঁরা আশা করছেন, সৌরশক্তির মাধ্যমে এই বিদ্যুত উত্পাদনে জেলা পরিষদের প্রতিদিনের যে চাহিদা তা পূরণ হবে। তিনি জানিয়েছেন, গড়ে প্রতিদিন জেলা পরিষদে ৪০ কিলোওয়াট বিদ্যুত খরচ হয়। এই সৌরশক্তির মাধ্যমে উত্পাদিত বিদ্যুত সেই চাহিদার সিংহভাগই মেটাবে। অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার প্রতিনিধি সৌমেন ঘোষ জানিয়েছেন, জেলা পরিষদে ১০৪টি সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে ৩৮.২৫ কিলোওয়াট বিদ্যুত উত্পন্ন হবে। তিনি জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই পদ্ধতি চালু হয়ে যাবে।

Exit mobile version