প্রখর তাপপ্রবাহকে সঙ্গী করে রাস্তায় জল, ওআরএস দিতে পথে নামল পুষ্টি বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা
admin
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- রবিবারও মাথার উপর জ্বলন্ত সূর্য যখন আগুন ঢালতে ব্যস্ত তখন বর্ধমান শহরের রাস্তায় কর্মব্যস্ত মানুষদের মুখে একচিলতে হাসি ফোটাতে পথে নামলেন বর্ধমান সদর প্যায়ারা নিউট্রিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যরা। দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত প্রায় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপপ্রবাহকে পার করে ৪৫ ছুঁইছুঁই তাপমাত্রাকে সঙ্গী করে রাস্তায় কর্মরত শ্রমিক, সিভিক ভলানটিয়ার, ট্র্যাফিক পুলিশ, খাবার ডেলিভারি করা নারী পুরুষ, টোটো চালক, ভ্যান চালক, রিকশা চালক এমন নানা পেশার মানুষ এবং পথচলতি প্রায় ২৫০ জন মানুষের হাতে একটি করে ঠান্ডা জলের বোতল এবং ওআরএসের প্যাকেট তুলে দিলেন সোসাইটির সদস্যরা। পুষ্টি বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা এদিন জানিয়েছেন, প্রকৃতির এই রুদ্র রূপে তাঁরা ঘরে বসে থাকতে পারেননি। যাঁদের জন্য আমাদের জীবনযাত্রা স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়ে থাকছে সারাবছর, প্রখর এই রোদেও রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন সমাজকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে তাঁদের পাশে সহানুভূতির ছোঁয়া দিতেই তাঁরাও পথে নেমেছেন। আর পাঁচজনের মত তাঁরাও ঘরে বসে থাকতে পারতেন। কিন্তু এই মানুষগুলোর জন্য তাঁদের বিবেকবোধ তাড়না দিয়েছে। এদিন এই পুষ্টিবিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন, শুধু মানুষ বা বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরাই নয়, পথের ধারে অসহায় পথ-কুকুর এবং অন্যান্য পশুদেরও জল ও বিস্কুট খাওয়ানো হয়েছে এদিন। সোসাইটির সম্পাদক তথা পুষ্টি বিজ্ঞানের শিক্ষক প্রলয় মজুমদার জানিয়েছেন, এই পৃথিবী সকলের এবং সকলে একসাথে বাঁচার লক্ষ্যে বিশ্ব ধরিত্রী দিবসের (২২ শে এপ্রিল) আগের দিন তাঁদের এই উদ্যোগ। তিনি এদিন সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন রাখেন, পাখিদের জন্য ছাদে জলের বন্দোবস্ত করার জন্য। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, জমা জলে ডেঙ্গুর মশা ডিম পারে তাই ছাদে পাখিদের জন্য রাখা জলের পাত্র দু-দিন অন্তর পরিষ্কার করতে হবে। এই পুষ্টিবিজ্ঞানের এই ছাত্রছাত্রীরা চলতি তাপপ্রবাহের জন্য কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে সেই বিষয়েও সাধারণ মানুষকে সচেতন করেন। অন্যান্যদের মধ্যে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন নার্গিস লায়েক, দ্যুতি কোনার, জয়ী সাহা, মনীষা দাস, পূর্বাশা রায় প্রমুখরা।