দিদিকে বলো কর্মসূচীতে বিধায়কের কাছে ঘেঁষতেই পারলেন না অনেকেই
admin
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- দিদিকে বলো কর্মসূচীতে বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়কে হাতের কাছে পেয়ে কিছু মানুষ যেমন তাঁদের দীর্ঘদিনের জমে থাকা অভাব অভিযোগ তুলে ধরলেন তেমনি, অনেকেই বিধায়ককে ঘিরে থাকা তৃণমূল নেতাদের ভিড়ে কিছুই বলতে পারলেন না। এই ঘটনায় যেমন যাঁরা তাঁদের অভাব অভিযোগ জানাতে পারলেন তাঁরা খুশী হয়েছেন তেমনি যাঁরা তৃণমূল নেতাদের বেষ্টনীতে থাকা বিধায়ককে হাতের কাছে পেয়েও তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে পারলেন না, তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে বর্ধমান শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে। বর্ধমান শহরের ২৮নং ওয়ার্ডের তরুণ সংঘ মাঠে আয়োজিত জনতার দরবারে হাজির হন বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। ২৮নং ছাড়াও ২৫, ২৬, ২১ এবং ১৫ নং ওয়ার্ডের বেশ কিছু বাসিন্দা তাঁদের অভাব অভিযোগ তুলে ধরেন বিধায়কের কাছে। যদিও বর্ধমান শহরের ২৫ নং ওয়ার্ডের বেশ কিছু বাসিন্দা চেষ্টা করেও বিধায়কের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। ২৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিমলেন্দু দত্ত জানিয়েছেন, তাঁরা বিধায়ককে কাছে পেয়ে অনেক কিছু সমস্যা সম্পর্কে বলতে চেয়েছিলেন কিন্তু তাঁকে ঘিরে থাকা নানান মাপের নেতাদের জন্য্ তিনি কিছু বলতেই পারেননি। একইকথা বলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা সুশান্ত চ্যাটার্জ্জীও। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা অনেক আশা করেছিলেন। কিন্তু যেভাবে বিধায়ককে ঘিরে রাখা হয়েছে তাই তাঁরাও কিছু বলতে পারেননি। উল্লেখ্য, এদিন দিদিকে বলো কর্মসূচীর অঙ্গ হিসাবে রাস্তায় ভিজিটিং কার্ড বিলিয়ে দেন রবিরঞ্জনবাবু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার খোকন দাস-সহ তৃণমূল নেতারাও। রবিরঞ্জনবাবু এদিন জানিয়েছেন, বহু মানুষ তাঁর কাছে এদিন অভাব অভিযোগ জানিয়েছেন। কিছু ব্যক্তিগত অভিযোগও রয়েছে। এছাড়াও ড্রেন, রাস্তা নিয়েও কিছু অভিযোগ এসেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন, কোথাও কোনো অভিযোগ থাকলে দিদিকে বলো ফোন নাম্বারে জানাতে বলা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। পাশাপাশি তাঁকে জানালেও তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।