E Purba Bardhaman

আমানতকারীদের টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত সংস্থার দুই কর্তার আগাম জামিন নাকচ

গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আমানতকারীদের লক্ষ-লক্ষ টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত স্টার ওয়েলফেয়ার সোসাইটির দুই কর্তার আগাম জামিন হল না। গ্রেপ্তার এড়াতে আগাম জামিনের আবেদন করে সংস্থার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ দাস ও কর্ণধার বংশধর দাস। মন্তেশ্বর থানার ধামাচিয়ায় প্রসেনজিৎ-এর বাড়ি। মন্তেশ্বর থানারই মালডাঙায় অপরজনের বাড়ি। শুক্রবার আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু, অভিযুক্তদের আইনজীবী কুমারজিৎ নায়েক আবেদন প্রত্যাহার করে নেন। আইন অনুযায়ী, আবেদন প্রত্যাহার করার কারণে জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ নন্দন দেববর্মণ। কেসের সরকারি আইনজীবী হরিদাস মুখোপাধ্যায় বলেন, সংস্থাটি মানুষের জমানো লক্ষ-লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছে। বহু মানুষ সংস্থায় টাকা রেখে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। মামলার নথিতে অর্থ আত্মসাতের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সরকার পক্ষ শুনানির জন্য প্রস্তুত ছিল। অভিযুক্তদের আইনজীবী আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে চড়া সুদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অফিস খুলে আমানত সংগ্রহ করে স্টার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। মেমারির সাতগেছিয়ায় সংস্থাটির হেড অফিস। আমানতকারীদের আস্থা অর্জনের জন্য এলাকায় নানা সমাজকল্যাণমূলক কাজ করে সংস্থাটি। রক্তদান ও চক্ষু পরীক্ষা শিবির, অ্যাম্বুল্যান্স প্রদান প্রভৃতির মাধ্যমে এলাকাবাসীর আস্থা অর্জন করে সংস্থাটি। সংস্থার কর্তাদের কথায় বিশ্বাস করে মন্তেশ্বর থানার ছোট বাঘাসনের খোকন দাস সেখানে ৪০ হাজার টাকা জমা রাখেন। তাকে সংস্থার তরফে শংসাপত্র দেওয়া হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি টাকা তুলতে যান। যদিও সংস্থার কর্তারা নানা অছিলায় টাকা ফেরত দেয়নি তাকে। উল্টে তাকে মারধর করা হয়। ঘটনার কথা তিনি মন্তেশ্বর থানায় জানান। থানা অবশ্য কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বিষয়টি আমানতকারীরা প্রশাসনের নানা মহলে জানান। এমনকি ইডিতেও লিখিতভাবে সংস্থার প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ করেন আমানতকারীরা। তাতে ফল না হওয়ায় কালনার এসিজেএম আদালতে মামলা করেন খোকন। কেস রুজু করে তদন্তের জন্য মন্তেশ্বর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন এসিজেএম।

Exit mobile version