বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আবেদনে এসপির রবার স্ট্যাম্প দেওয়া থাকলেও তার সই না থাকায় ধৃতদের পুলিশি হেপাজত খারিজ করলেন মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালতের বিচারক। এর ফলে দুটি মামলায় তিনজনকে হেপাজতে নিতে পারল না পুলিশ। এতে তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হল বলে সরকারি আইনজীবীর মত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার ৪ কুইন্টাল ২ কেজি ৭৮০ গ্রাম গাঁজা-সহ মহাদেব মণ্ডল ও বাপন বালিকে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। পূর্বস্থলী থানার বরগাছি ও যজ্ঞেশ্বরপুরে ধৃতদের বাড়ি। সেদিনই ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। বিলম্বে পেশ করার কারণ দেখিয়ে মামলাটি প্রথমে গ্রহণ করতে চাননি বিশেষ আদালতের বিচারক। পরে তিনি মামলাটি গ্রহণ করেন। ধৃতদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। কিন্তু, আবেদনটি খারিজ করে দেন বিচারক। ধৃতদের হেপাজতে নিতে চেয়ে ফের আবেদন জানায় পুলিশ। মঙ্গলবার সেই আবেদনের শুনানি হয়। আবেদনে পুলিশসুপারের রবার স্ট্যাম্প দেওয়া থাকলেও তার পরিবর্তে অন্য আধিকারিক সই করায় সেটি খারিজ করে দেন বিচারক। একইভাবে ২৫ কেজি ২৪০ গ্রাম গাঁজা সহ ধৃত আলম শেখকে হেপাজতে নেওয়ার আবেদনটিও খারিজ করে দেন বিচারক মীনা সরকার। সরকারি আইনজীবী উদয় শঙ্কর কোনার বলেন, একটি আবেদনে কোনও ত্রুটি ছিল না। অপর আবেদনটিতে এসপির রবার স্ট্যাম্প দেওয়া থাকলেও অন্য পুলিস অফিসার সই করেছেন। এসপি নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। সে কারণে সবসময় তাকে দিয়ে সই করানো সম্ভব হয় না। এ ধরণের আবেদন এর আগে বহুবার মঞ্জুর হয়েছে। এক্ষেত্রে কেন আবেদন দু’টি খারিজ করা হল তা বুঝতে পারছি না। এতে তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা নষ্ট হবে।
অন্যদিকে, এদিন মাদক মামলায় ধৃত কয়েকজন বিচারাধীন বন্দি আদালত কক্ষে চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন। তাদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে কার্যত বিনাবিচারে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। মামলার শুনানি হচ্ছেনা। তড়িঘড়ি তাদের আদালতের লকআপ থেকে জিআরও লকআপে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।