বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দেওয়া এবং শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত গানের শিক্ষক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল বর্ধমানের পকসো আদালত। গানের শিক্ষকের মোবাইলটি উদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে তাকে ৫ দিন পুলিশি হেপাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সেই আবেদনের শুনানি হয়। সরকারি আইনজীবী গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, মোবাইলের মাধ্যমে ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দেওয়া হত। তাই, তদন্তের প্রয়োজনে মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করা অত্যন্ত জরুরি। অভিযুক্তের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও উদয়শঙ্কর কোনার পুলিশি হেপাজতের বিরোধিতা করেন। সওয়াল শুনে অভিযুক্ত গানের শিক্ষককে ২ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন পকসো আদালতের বিচারক পার্থ প্রতিম দত্ত। পুলিশ জানিয়েছে, কল্যাণের বিরুদ্ধে মোবাইলে স্কুলের ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে ছাত্রীদের নানা অশালীন চ্যাট পাঠাত কল্যাণ। তার বাড়িতে গান শিখতে গেলে ছাত্রীদের কয়েকজনকে সে কুপ্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ। হরিসভা হিন্দু হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর মা কল্যাণের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। ৪ জুলাই কল্যাণ আদালতে আত্মসমর্পণ করে।