বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- গত কয়েকদিন ধরে চাপান উতোরের পর অবশেষে বর্ধমানের পকসো আদালতে এসে নিজেই আত্মসমর্পণ করলেন বর্ধমানের নামী সঙ্গীত প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার তথা বর্ধমান হরিসভা হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের অস্থায়ী গানের শিক্ষক কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। কল্যাণবাবুর বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর তিনি আগাম জামিনেরও আবেদন করেন। আগাম জামিনের আবেদন বাতিল হওয়ার পরও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এরপরই বুধবার বেলা সাড়ে ১০ টা নাগাদ তিনি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে নিজেই পকসো আদালতের বিচারক পার্থপ্রতীম দত্তের এজলাসে এসে আত্মসমর্পণ করেন।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন ভাবে গানের ক্লাসের ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দেওয়া এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয় কল্যাণবাবুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠে, বেশ কয়েক বছর ধরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলাবতী মিউজিক একাডেমীতে গান শিখতে যেত অভিযোগকারিণী বর্ধমানের হরিসভা হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রী। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, মোবাইলে মেসেজ করে তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হত। সম্প্রতি তাকে গানের স্কুলে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন ওই শিক্ষক। কোন রকমে সে পালিয়ে যায়। এরপর গোটা বিষয়টি ছাত্রীটি তার মাকে জানায়।। এরপরই অভিযোগকারিণী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কাছে প্রথমে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানায়। বর্ধমান পুরসভার পুরপতি ডা. স্বরূপ দত্তের কাছেও ওই স্কুলের ছাত্রীরা এই অভিযোগ জানান। বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় শিক্ষক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির ধারায় মামলা রুজু করে। পরে পুলিশ মামলায় পকসো অ্যাক্টের ৮ নম্বর ধারা যুক্ত করে। পকসো আদালতের বিচারক পার্থপ্রতীম দত্ত তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠিয়ে ১১ জুলাই ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন।
যদিও এদিন কল্যাণবাবু জানিয়েছেন, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। কল্যাণবাবু জানিয়েছেন, তাঁকে মিথ্যাভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই ফাঁসানো হয়েছে। বিচারব্যবস্থার প্রতি তাঁরা আস্থা আছে। তিনি সুবিচার পাবেন।