E Purba Bardhaman

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী আমানতের টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ধৃতের বিচার বিভাগীয় হেফাজত

Stock Photo - The University of Burdwan - Academic Campus - Golabbag Campus - Photo by Sanjoy Karmakar, Purba Bardhaman

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখা থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী আমানত প্রকল্পের জমা রাখা টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ধৃত শেখ এনামুল হককে হেফাজতে নিয়েও তেমন কোনও তথ্য পেল না পুলিস। শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার আদালতে পেশ করা হয় ধৃতকে। তাকে ৫ দিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম। সেদিনই রাতে পুলিস লকআপে অসুস্থ হয়ে পড়ে ধৃত। তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সোমবার সকালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এদিন তাকে ফের সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। হেফাজতে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি পুলিস। তাই, ঘটনার বিষয়ে তেমন কোনও তথ্য তার কাছ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি পুলিসের পক্ষে। ধৃতের আইনজীবী অতনু সরকার জামিনের সওয়ালে বলেন, ঘটনায় আদৌ এনামুল জড়িত নয়। সে সামান্য একজন কর্মী। অযথা তাকে ফাঁসানো হয়েছে। শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে এবং তদন্তে তেমন কোনও অগ্রগতি না হওয়ার কারণে যে কোনও শর্তে ধৃতের জামিন মঞ্জুর করা হোক। সরকারি আইনজীবী অবশ্য জামিনের বিরোধিতা করেন। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১৮ মার্চ ধৃতকে ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন সিজেএম।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির বড়বাজার শাখায় সরকারি ফান্ডের ২১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা স্থায়ী আমানত প্রকল্পে জমা রাখে বিশ্ববিদ্যালয়। ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চিঠি নিয়ে এনামুল ব্যাংকে এসে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই সেই টাকা তোলার জন্য কাগজপত্র জমা দেয়। জমা দেওয়া নথিপত্র দেখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। ব্যাংকের তরফে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেয়, টাকা তোলার জন্য কোনও নথিপত্র জমা দেওয়া হয়নি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়ে দেয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজার নেহা রানি বর্ধমান থানায় ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

Exit mobile version