E Purba Bardhaman

কালীঘাটের কাকু বাংলার লজ্জা, এই নোংরামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে – লকেট

'Kalighater Kaku' is the shame of Bengal, action must be taken against this filth - locket chatterjee

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- মুর্শিদাবাদ থেকে মালদহ সর্বত্র আজ শিশুরা, প্রসূতি মায়েরা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পাচ্ছেন না। বেড পাচ্ছেন না। মাটিতে শুয়ে মায়েরা শিশুদের জন্ম দিচ্ছেন। আর সেখানে এসএসকেএমে একজন চোর-ডাকাত শিশুদের জন্য বরাদ্দ বেডে চিকিৎসাধীন। এর থেকে লজ্জার, নোংরামী আর কিছু নেই। এব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সাধারণ মানুষের আওয়াজ তোলা উচিত বলে জানিয়ে গেলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। শনিবার সন্ধ্যায় বর্ধমানের বিজেপি বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা অফিসে দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে আসেন লকেট। এদিন এসএসকেএমে কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শিশু বেডে থাকা নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় এই কথা বলেন লকেট। তিনি জানিয়েছেন, এঁরা হাসপাতালে বসে কী কী সুবিধা পাচ্ছেন, কাকে ফোন করছেন – তার নজরদারীর জন্যই সি আই এস এফ রাখা হয়েছে। এছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ এভাবেই ওরা তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। তাই সিআইএসএফের এই নজরদারী। মহুয়া মৈত্রের আইনী পরামর্শ নেওয়া সম্পর্কে এদিন লকেট বলেন, অনুব্রত মণ্ডল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কালীঘাটের কাকু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সবাইকে দেখা যায় তাঁরা আইনি পরামর্শ নেন এবং হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিমকোর্টে কংগ্রেসের বড়বড় নেতারাও তাঁদের হয়ে লড়েন কোটি কোটি লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। সুতরাং তাঁরা বাঁচবার জন্য করছেন। কিন্তু যেটা উনি করেছেন, যেটা তিনি স্বীকার করেছেন যে পাসওয়ার্ড তিনি বাইরে তাদেরকে দিয়েছিলেন। এরপর আর কোনো প্রশ্ন আসে না। আইন আইনের পথে চলবে। তবে এটা বাংলার জন্য লজ্জা। যে দেশের সুরক্ষার জন্য মানুষ তাঁকে ওখানে পাঠয়েছেন বদলে তিনি কিন্তু দেশ বিরোধী কাজ করেছেন। কলকাতার রাজপথে এসএলএসটি আন্দোলনকারীদের এক হাজার দিন আন্দোলন এবং মাথা ন্যাড়া করে অভিনব প্রতিবাদ জানানোর পর সেখানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যা নিয়ে এদিন লকেট চট্টোপাধ‌্যায় বলেন, পাপ তো প্রায় ১২ বছর ধরে চলছে। ভোটের আগে প্রায়শ্চিত্তর কথা মনে পড়ে। আবার ভোট চলে যাবে ২৬-এর আগে মনে পড়বে। কাজের কাজ কিছু হয়না। হাজার দিন হয়ে গেলো। এরা বাংলার মহিলা প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মহিলাদের সৌন্দর্য নিজের চুল ত্যাগ করছেন, প্রতিবাদের ভাসা হয়ে। মানুষ এর জবাব ২০২৪-এ দেবেন। আজ তাঁদের লোকদেখানি সান্ত্বনা দিতে গেছেন। লোকসভার আগে তাঁদেরকে মনে পড়ছে, আবার বিধানসভার আগে মনে পড়বে। কিন্তু কোনও কাজ হবে না। কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে বিরোধীদের জবাবে সাংসদ লকেট বলেন, কাদের বঞ্চিত বলছেন। যাঁদের কোটি কোটি টাকা আছে, ৩-৪ টে বাড়ি আছে তাঁদেরকে বঞ্চিত সাজিয়ে দিল্লীতে নিয়ে গিয়েছিলেন। বঞ্চিতরা ২৯ তারিখ গৃহমন্ত্রীর সভায় ট্রেনে করে বাসে করে এসে আওয়াজ তুলেছেন। চার হাজার কোটি টাকার ঘাপলা এই বাংলা করেছে। আগে হিসাব দেবেন তারপর টাকা পাবেন। ১০০ দিনের টাকা প্রকৃত মানুষ পায়নি। সিঙ্গুরের আন্দোলনে শূন্য। কৃষকরা সরকার নির্ধারিত ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। সেখানেও কাটমানি। কৃষকরা যত খুশি বিক্রি করতে পারবেন, কিন্তু সেটা মানা হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীকে সময় চেয়ে আবেদন মমতার, সময় না দিলে আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওসব সিবিআই, ইডি থেকে বাঁচতে।


Exit mobile version