E Purba Bardhaman

তপশিলি জাতি ও উপজাতি পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে তাঁদের সমাস্যার কথা শুনবেন কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ

Kalna MLA Debaprasad Bag will reach out to scheduled caste and scheduled tribal students for 10 days and listen to their problems.

কালনা (পূর্ব বর্ধমান) :- আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তপশিলি জাতি ও উপজাতি মানুষজনের মন পেতে এবার এসসি এবং এসসি পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে তাঁদের সমাস্যার কথা শোনার কর্মসূচি নিলেন কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ। কালনার পুরাতন বাস স্ট্যান্ড এলাকায় রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন বিধায়ক তথা তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র দেবপ্রসাদ বাগ। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এদিন বলেন, বিধায়ক হিসাবে তাঁর এই কর্মসূচি। সামনের ১০ দিন তিনি তাঁর বিধানসভা ক্ষেত্রের তপশিলি জাতি ও উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে পৌঁছে যাবেন। সেখানকার তপশিলি জাতি ও উপজাতি পড়ুয়াদের সাথে আলোচনা করবেন। শুনবেন তাঁদের বিভিন্ন সমস্যার কথা। শুধু সমস্যার বিষয় শোনাই নয়, সমাধানেরও উদ্যোগ নেবেন অথবা সে বিষয়ে পরামর্শ দেবেন বলে জানিয়েছেন দেবপ্রসাদ বাগ। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে গোটা দেশে সব থেকে বেশি তপশিলি জাতি ও উপজাতি মানুষজনের উপর নানারকম অত্যাচার নেমে আসছে। এই রাজনীতি একসময় ছিল না, সেই রাজনীতি ক্রমশ ঢুকে যাচ্ছে। তাই আগামী ১০ দিন কালনা বিধানসভার তপশিলি জাতি ও উপজাতি অধ্যুষিত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা সমাধানের জন্য তাঁদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন। আগামী ১৬ অথবা ১৭ তারিখ থেকেই এই কর্মসূচি শুরু করবেন। ১০ জায়গায় এই কর্মসূচি হবে। বিজেপির নাম না করে এদিন বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এটাকে রক্ষা করতে গেলে পিছিয়ে পরা মানুষজনের কাছে যেতে হবে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রচারটাও দরকার বলে জানান দেবপ্রসাদ বাগ। যদিও এই কর্মসূচির বিষয়ে বিরোধীরা জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কাছ থেকে তপশিলি জাতি ও উপজাতি মানুষজনেরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তাই নির্বাচনের মুখে তাঁদের মন পেতেই এই কর্মসূচি। যদিও, এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ১৮ বছর না হওয়ায় পড়ুয়ায়দের একটা বড় অংশই এখনও ভোটার হয়নি, তাই তাঁদের ভোট পেতে এই কর্মসূচি -এটা ভুল কথা। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার সারা বছরই এই রাজ্যের সকলের জন্য বিভিন্ন কাজ করে চলেছে, ভোটের কথা ভেবে আলাদা করে কর্মসূচি নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

Exit mobile version