বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- সোমবার থেকে বর্ধমান টাউন হলে শুরু হল প্রথম বছর পূর্ব বর্ধমান জেলা খাদি মেলা। এদিন মেলার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের সভাপতি তথা নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ। পর্ষদের সিইও নিমাইচাঁদ হালদার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের সহায়তায় বর্ধমানের নতুনগ্রামের কাঠের পুতুল, দরিয়াপুরের ডোকরা, কালনার রাখি, বাতাসা ও কদমা, ভেদিয়ার কাঁথাস্টিচ শিল্প প্রভৃতিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে গুচ্ছ প্রকল্প। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী পূর্বস্থলী ১ ব্লকে কচুরিপানা থেকে প্রস্তুত হস্তশিল্পের গুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এরইসঙ্গে খড়ের বিঁড়ে তৈরির গুচ্ছ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এরফলে এই শিল্পে যুক্ত প্রায় ১৫০ শিল্পী উপকৃত হবেন। তিনি জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমানের ২৬টি খাদি সংস্থার মাধ্যমে ৪৯০ জন কাটুনি এবং ১৩৫ জন বয়ন শিল্পীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এভাবেই গোটা রাজ্যের শিল্পীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, গোটা রাজ্য জুড়ে এই ধরনের মেলার মাধ্যমে খাদির বিপণন ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি আর্থিক বর্ষে দার্জিলিং থেকে এই মেলা শুরু হয়েছে এবং আগামী এপ্রিল মাসে মেদিনীপুরে ১৫ তম মেলার শেষ হবে। নিমাইবাবু জানিয়েছেন, মেদিনীপুর থেকে এক শিল্পীর তৈরি মাদুর বিদেশে ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এমনকি প্রায় ১ লক্ষ টেবিল মাদুর বিদেশে রপ্তানির বরাত পাওয়া গেছে। এদিন এই মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, সহকারী সভাধিপতি গার্গী নাহা, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অমিয় কুমার দাস, পুরপ্রধান পরেশ চন্দ্র সরকার, খাদি বোর্ডের সদস্য উজ্জ্বল প্রামাণিক, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আরতি খান, পর্ষদের জেলা আধিকারিক মানস কুমার গোস্বামী প্রমুখরা। পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের পূর্ব বর্ধমান জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলায় প্রায় ১০০ টি স্টল করা হয়েছে। মেলা চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। মেলার সহযোগিতায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দপ্তর।