গলসি (পূর্ব বর্ধমান) :- বালির নকল ই-চালান তৈরি করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গলসি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সাকির মণ্ডল ওরফে সাকিব। খণ্ডঘোষ থানার হামিরপুরে তার বাড়ি। শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেরায় জাল ই-চালান তৈরি করে তা বিভিন্নজনকে সরবরাহের কথা ধৃত কবুল করেছে বলে পুলিশের দাবি। ধৃতের একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সেই মোবাইলটির মাধ্যমে নকল ডমিয়েম তৈরি করে সে ই-চালানের অবৈধ কারবার চালাত বলে জেনেছে পুলিশ। ধৃতের সঙ্গে আরও কয়েকজন নকল ই-চালানের কারবারে জড়িত বলে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছে পুলিশ। শনিবার ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে ১০ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। ধৃতের তিনদিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন সিজেএম বিনোদ কুমার মাহাত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ বালি বোঝাই একটি লরি বাজেয়াপ্ত করে। লরির চালক পুলিশকে একটি ই-চালান দেখায়। সেটি অন্য একটি সংস্থার ইস্যু করা। সেটি জাল বলে বারকোড পরীক্ষা করে ধরতে পারে পুলিশ। এনিয়ে সংস্থার তরফে গলসি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। গলসি থানার পুলিশ নকল ই-চালানের রহস্য ভেদে সাইবার থানার সাহায্য নেয়। সাইবার থানার কাছ থেকে ওয়েবসাইটের সম্পর্কে বিশদ তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ। এরপর গুগল অথরিটিকেও চিঠি দিয়ে ই-মেইল আইডির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে গলসি থানার পুলিশ। সেখান থেকে কয়েকটি ফোন নম্বর মেলে। সেগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে জানা যায়, সাকির ফোনগুলি ব্যবহার করে। নকল ই-চালানের কারবারের ফলে সরকারের প্রচুর রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে। এ পর্যন্ত সাড়ে ৩-৪ লক্ষ টাকা নকল ই-চালান সরবরাহ করে সে কামিয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে পুলিশ।