E Purba Bardhaman

নববর্ষের শুভেচ্ছায় অনুপস্থিত কীর্তি; সুযোগ কাজে লাগালেন সিপিআই(এম), বিজেপি প্রার্থীরা

Kirti Azad absent in New Year greetings; CPI(M), BJP candidates used the opportunity

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পূর্ব বর্ধমান জেলার ২টি লোকসভা আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৩ মে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই জোর কদমে প্রচারে নেমেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। কার্যত আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে তৃণমূল শিবিরে। আর তাই বাংলা নববর্ষের মত একটি বৃহৎ সামাজিক অনুষ্ঠানকে যখন বিজেপি, সিপিআই(এম)ও প্রচারের হাতিয়ার করার সুযোগ ছাড়লো না, সেই সময় খোদ বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী এই দিনটিকে ‘রিজার্ভ ডে’ হিসাবেই রেখে দিলেন। আর তাতেই ভ্রূ কুঁচকেছেন ঘাসফুল শিবিরের নেতা-কর্মীরা। তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে এব্যাপারে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস জানিয়েছেন, তৃণমূল প্রার্থীর প্রচার অনেকটাই সারা হয়ে গেছে। প্রতিদিনই তিনি চষে বেড়াচ্ছেন একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে। এই দিনটিকে তিনি নিজের মত পালন করবেন বলেই বোধহয় প্রচারে বর্ধমানকে রাখেননি। যদিও প্রার্থী কীর্তি আজাদ এদিন দুর্গাপুরে গুরুদুয়ারায় যান এবং স্থানীয় একটি মন্দিরও দর্শন করেন। প্রসেনজিত দাস জানিয়েছেন, বাঙালির ভাবাবেগ সম্পর্কে প্রার্থী যথেষ্টই ওয়াকিবহাল। উনি সেইভাবে মানুষের সঙ্গে আছেন। রাজনৈতিকভাবে তিনি আজকের দিনটিকে তেমন গুরুত্ব দেননি হয়ত। কারণ অনেকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রচার চলছে। এখানে ভোট হতে প্রায় একমাস দেরি আছে। অন্য রাজনৈতিক দলের থেকে প্রচারে অনেক এগিয়ে আছেন। তাই এই দিনটিকে তিনি সামাজিক দিন হিসাবেই পালন করছেন। বাঙালিরা যেটা চায় উনি সেটাই করছেন। উল্লেখ্য, বাংলা এই নববর্ষের দিনটিকে হাতছাড়া করেননি জাতীয় কংগ্রেস সমর্থিত বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই(এম) প্রার্থী সুকৃতি ঘোষাল। এদিন তিনি রাজবাটি উত্তর ফটক থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত নববর্ষের প্রভাতফেরীতে অংশ নেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরাও। এরই পাশাপাশি এদিন সকাল থেকেই প্রতিদিনের মতই বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষও প্রচার সেরেছেন জায়গায় জায়গায়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে নববর্ষের কুশল বিনিময়ও করেছেন। উল্লেখ্য, এদিন বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস উদ্‌যাপনকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। এব্যাপারে তিনি বলেন, টিএমসি চলে গেলে দিনটাও চলে যাবে। পয়লা বৈশাখ পশ্চিমবঙ্গ দিবস কীভাবে হলো আমরা জানি না। পয়লা বৈশাখ কবে শুরু হয়েছে সেটাও ওনারা জানেন না। পশ্চিমবঙ্গ কবে শুরু হলো এটাও জানেন না। পশ্চিমবঙ্গকে মিটিয়ে দিয়ে বাংলা করার চেষ্টা করছেন, আবার পশ্চিমবঙ্গ দিবসও করছেন।

Exit mobile version