বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদ দিলীপ ঘোষের নাম শুনলেই ক্ষেপে যাচ্ছেন। দিলীপ ঘোষ সম্পর্কে তাঁকে কিছু জিজ্ঞাসা করলেই রীতিমত রাগান্বিত হয়ে উঠছেন তিনি। কীর্তি আজাদের এই আচরণ নিয়েও কটাক্ষের সুর দিলীপের গলায়। তিনি বললেন, কি আর বলবো, লাল মেঘ দেখলে গরুতে লাফায় দেখেছেন? এঁড়ে গরু, লাফায় খুব। লাল মেঘ দেখছেন, আমি যা বলছি হয়তো বুঝতেই পারবেন না। আর তা শুনে শুক্রবার কীর্তি আজাদের প্রতিক্রিয়া – যে কোনও প্রশ্ন করতে পারেন কিন্তু দিলীপ ঘোষের জন্য আমার কাছে কোন সময় নেই। আমি পাগল লোকের জন্য কিছু বলি না, ভুট্টা জানেন কি হয়, একটা গরম কড়াইয়ে মধ্যে ভুট্টা ছেড়ে দিলে কি হয় – ফট, ফট, ফট করে শেষ হয়ে যায়। এরকমই ওর হাল, ওর বিষয়ে কথা বলবেন না। বারবার কার বিষয়ে কথা বলছেন। বস্তুত, বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে ইস্তক কীর্তি আজাদের গলায় বাঁধাধরা একই সুর। একই হিন্দু ধর্মের তাস। শুক্রবার বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগে বর্ধমান টাউন হলে হিন্দিভাষাভাষি মানুষদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল সভার। টাউন হলে বিশাল সভাতেও কীর্তি বললেন, মোদির গ্যারাণ্টির বদলে দিদির সারাবছরের ওয়ারাণ্টি। দিদি যা বলেন তাই করেন। মোদি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন। এদিনও কীর্তি আবেদন করেছেন মহিলাদের কাছে, গ্রাম গঞ্জ, পাড়া মহল্লায় বিজেপি প্রার্থী ঢুকতে চাইলে তাঁকে ঢুকতে দেবেন না। এদিনও তিনি বললেন, যে মহিলাদের সম্মান দেয় না, দুর্গা মা সম্পর্কে কুত্সা করে তার সমাজে থাকার অধিকার নেই। যেভাবে মেদিনীপুর থেকে এসেছেন সেভাবেই তাঁকে মেদিনীপুর পাঠিয়ে দিন। এদিন টাউন হলের এই সভায় দিলীপ ঘোষকে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। তিনি এদিন বলেন, দিলীপ ঘোষ বিয়ে করেননি। মহিলাদের মর্ম তিনি বোঝেন না। মহিলাদের সম্মান কি তাও জানেন না। খোকন বলেন, তাঁরা কোনো মহিলা সম্পর্কে কিছু বললে বাড়ি ফিরলে তাঁদের স্ত্রীরা তাঁদের কাছে কৈফিয়ত চায় কেন মহিলাদের সম্পর্কে কিছু বললে? কিন্তু দিলীপ ঘোষের ক্ষেত্রে এসবের বালাই নেই। তিনি কলকাতায় থাকেন। হাফ প্যাণ্ট পড়ে সকালে মাঠে যান, আর চা খান। তাঁর চা খাবার বহরে বর্ধমানের চায়ের দোকানে সেল বেড়েছে। এটা ভাল। কিন্তু ওই মানুষকে একটা ভোটও কেউ দেবেন না।